রিফাত কান্তি সেন
ই-এটেনডেন্স পদ্ধতিতেই এখন হাজিরা দেয় রূপসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।শুধু শিক্ষার্থী নয়, শিক্ষকরা ও একই পদ্ধতিতে হাজিরা দেয়।এতে করে সঠিক সময়ে সকল শিক্ষক,শিক্ষার্থী স্কুলে আগমন ও প্রস্থান উভয়ই নিরুপণ করা সহজতর হয়েছে। লুবনা, নাফিজা, জান্নাত সহ সকল শিক্ষার্থী এখন ই-এটেনডেন্স পদ্ধতিতে স্কুলে হাজিরা দেয়।তখন সকাল ৯.৩০,বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। একে একে সকলেই ই-এটেনডেন্স ডিভাইজে নিজেদের বায়োডাটার কার্ড পামস করে স্কুলে উপস্থিতি নিশ্চিত করে।
শুধু লুবনারা নয়,কার্ড পামস করে শিক্ষকরা ও উপস্থিতি নিশ্চিত করে।
আবার পাঠদান শেষ হলে, ছুটির ঘন্টা বাজলে কার্ড পামস করে প্রস্থান নিশ্চিত করা হয়। ভাবা যায় প্রযুক্তি দুনিয়াকে কত সহজ করে ফেলেছে।গ্রামীণ বিদ্যালয়গুলোতে ও এখন ই-এটেনডেন্স পদ্ধতিতে উপস্থিতি বা হাজিরা নিশ্চিত করা যায়।
শুধু তাই নয়, আপনার সন্তান কী স্কুলে সঠিক সময় পৌঁছেছে কি না তা ও নিশ্চিত হওয়া সম্ভব।স্কুলে ফাঁকি দিলেও তা বের করা যাচ্ছে খুবই সহজে।
ইলেট্রনিক ডিভাইজের মাধ্যমে উপস্থিতির প্রামাণ্য দলিল পাওয়া যাচ্ছে।ডিভাইজ সিস্টেমের কারণে বিদ্যালয় চলাকালীন অভিভাবকরা থাকছেন চিন্তামুক্ত।স্কুলে গিয়ে তথ্য নিলেই জানা যাবে আপনার সন্তান কখন বিদ্যালয়ে আসে আবার কখন বিদ্যালয় থেকে চলে যায়। বিদ্যালয়ের শ্রেণি শিক্ষকের হাজিরা সংক্রান্ত যে ঝুট-ঝামেলা ছিলো তা থেকেও পরিত্রান মিলেছে।এখন শ্রেিণকক্ষে, শ্রেণিশিক্ষক নাম ডাকার নামে যে বাড়তি সময়ের অপচয় তা থেকে রক্ষা পাচ্ছে। স্কুলের গল্প লিখতে আমরা ছুটে গিয়েছিলাম,চাঁদপুর জেলার, ফরিদগঞ্জ উপজেলার -রূপসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। কথা বলেছিলাম সেখানকার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সাথে। শিক্ষার্থীরা জানান,তাঁরা ই-এটেনডেন্স পদ্ধতিতে হাজিরা দিতে পেরে খুবই আনন্দিত।তাঁদের বিদ্যালয়-সামনে আরো নতুনত্তর শিক্ষা উপকরন, নিত্য নতুন প্রযুক্তি সহ ভিবিন্ন শিক্ষা বিষয়ক কার্যক্রম হাতে নিবে এটাই প্রত্যাশা। কথা হয় উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব,নূর হোসেন (বি.কম,বি.এড) এর সাথে।তিনি জানান,আমাদের বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক, ‘আবুল হোসেন’ (বিএসসি) এর ভাগিনা, ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমানের সহযোগিতা ও স্কুল ফান্ডের অর্থ খরচ করে ডিভাইজ গুলো স্কুলে স্থাপন করা হয়েছে।এছাড়া শ্রেণিকক্ষ গুলো ও সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে।
এতে করে আমাদের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও প্রস্থান উভয় বিষয়ই গুরুত্বের সাথে পর্যবেক্ষন করা যাচ্ছে। অভিভাবকরা ও নিশ্চিন্ত থাকতে পারছে তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে।তাছাড়া শিক্ষকরা ঠিক মত পাঠদান করাচ্ছে কী না তা ও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সনাক্ত করা যাচ্ছে। ১৯৭২ইং সালে স্থাপিত হয় বিদ্যালয়টি।শিক্ষার মান ও যথেষ্ট ভাল।