শরীফুল ইসলাম ¡
শুরু হয়েছে মুসলমানদের পবিত্র সিয়াম সাধনের মাস মাহে রমজান। মুসলমানরা এমাসে দিনের বেলায় খাবার বর্জন করে এবং দিন শেষে ইফতারের মনোনিবেশ করে কৃচ্ছতা সাধন করতে চায় ঠিক সেই সময় বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যায় হু-হু করে। এমনি সময় রোজার প্রথম দিনে বাজার দর যাচাই করার জন্য সোমবার বিকেলে শহরের পালবাজার ,বিপনীবাগসহ বেশ ক”টি বাজার ঘুরে যে চিত্র দেখা গেল পন্যের যেন নির্ধারিত কোন মূল্য নেই। বিক্রেতারা যার কাছ থেকে যত নেওয়া যায়। একেক বাজারে একেক দাম নেওয়া হচ্ছে । বাজারে লোকজনদের সাথে কথা বলে জানা যায় , রমজান শুরু হওয়া মাত্রই সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে, তবে প্রশাসন রিতীমত বাজার মনিটরিং করলে কিছুটা হলেও নিয়ত্রনে আসবে। গতকাল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন রকমের আম বিক্রি হচ্ছে ,এর মধ্যে ভালটা ৯০ টাকা, নরমাল ৭০ টাকা। খেজুর উন্নতমানের কেজিপ্রতি ৪০০ টাকা, নরমাল কেজি ১৫০ টাকা। মাল্টা ১৫০ টাকা, আপেল ১৯০ টাকা। গরুর গোশত ৩০০ টাকা, খাসির গোশত ৪০০ টাকা, মুরগী ১৬০ টাকা। খোলা সয়াবিন ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। সয়াবিন (বোতলজাত) লিটার প্রতি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। মসুর ডাল ( দেশি ) ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। ছোলা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। মুগডাল – ১১০ থেকে১১৫ টাকা। ভেসন ৬০ থেকে ৭০ টাকা। ময়দা ৩০টাকা, চিড়া- ৪৫ থেকে ৫০টাকা। আখের গুড় ১৪০টাকা। শহরের বাজার গুলোতে সবজির মধ্যে বেগুন টমেটু কাঁচা মরিচের দাম ছিল আকাশচুম্বী। প্রতি কেজি বেগুন ৯০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ ১০০ টাকা ।টমেটু ১১০ থেকে ১৫০ টাকা। শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকা,আলু প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা,ধনিয়া পাতা প্রতি কেজি ৪০০ টাকা। লেবু প্রতি জোড়া ১৫টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৪০টাকা। দেশি পেয়াজ ৩২ থেকে ৩৫ টাকা, রসুন কেজি প্রতি ৭০ টাকা , আদা ১৮০ টাকা । মাছের মধ্যে ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। চিংড়ি প্রতি কেজি ৯০০ টাকা , দেশি রুই প্রতি কেজি ৮০০ টাকা। তেলপিয়া প্রতি কেজি ২০০ টাকা, পাংগাশ প্রতি কেজি ১৫০ টাকা, রুই প্রতি কেজি ৩৫০টাকা। শহরের বাজারগুলোতে ক্রেতাদের সাথে আলাপ করে জানা যায় , পবিত্র রমজানে প্রতিবছরই দ্রব্যমূল্যের অস্থিতিশীলতা বিরাজ করে । এ মাসটি উপলক্ষে ব্যাসায়ীরা পুরো বছরের লাভ তুলে নেয়। ফলে ক্রেতারা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিপনীবাগে কয়েকজন ক্রেতা জানায় রমজানের আগেই দ্রব্যমূল্যের দাম হু-হু করে বেড়ে গেছে,তবে বাজার অস্থিতিশীলতার নজরদারী করে তাহলে আর ব্যাসয়ীরা দ্রব্যমূল্যের দাম অনৈতিক ভাবে নিতে পারবে না।