শাহরাস্তি ব্যুরোঃ-
শাহ্রাস্তি উপজেলার হোসেনপুর গ্রাম ড্রেজার বসিয়ে মাটি তোলায় ভেঙ্গে পড়ছে রাস্তা-ঘাট, ঘর-বাড়ি ও বিদ্যুতের খুঁটি। জনসাধারণের চলার পথ ভেঙ্গে যাওয়ায় প্রতিদিন দূর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে স্কুল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ দুই সহ¯্রাধিক পথচারীকে। সরেজমিনে দেখা যায়, ওই গ্রামের পূর্বপাড়া দিঘীর দক্ষিন পাড় ঘেষে যাওয়া কেয়ারের রাস্তাটি ভেঙ্গে দিঘী গর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। এ ছাড়াও দিঘীর পাড়ে বসবাস কারীরা রয়েছে অত্যন্ত হুমকির মুখে। অন্য দিকে পূর্ব পাড়ে আবুল বাসারের বাড়িতে পল্লী বিদ্যুতের খূঁটির মাটি ধসের কারনে দিঘীর ভেতর ঝুঁকিতে রয়েছে। এ কারনে যে কোন মূর্হুতে ঘটতে পারে বড় ধরনের বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা । অন্য দিকে বিলুপ্তির দ্বার প্রান্তে অবস্থান করা রাস্তাটি যোগাযোগ ব্যবস্থার ভোগান্তি হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে ওই এলাকায়। এই রাস্তা দিয়ে ৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত-শত শিক্ষার্থী সহ প্রতিদিন ৫ টি গ্রামের হাজার হাজার লোক চলাচল করে। জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত নোয়াব আলী তালুকদারের পুত্র আলী আশ্রাফ তালুকাদার উক্ত ড্রেজার স্থাপন করে পার্শ¦বর্তী ৬০ শতকের জলাশয় ভরাট করেন।
এ বিষয়ে একই গ্রামের মৃত নোয়াব আলী তালুকদারের পুত্র আলী হোসেন তালুকদার বলেন , এই দিঘীটি কাগজে কলমে ২ দশমিক ৩ শতক হলেও বর্তমানে চার পাড় ভেঙ্গে প্রায় আড়াই একর জায়গায় রুপান্তরিত হয়েছে। এ দিঘীর একজন অংশিদার আমি নিজেও। অথচ বিগত ৩০ বছর যাবত কোন হিসাব-নিকাশ অথবা কোন ফয়সালা ছাড়াই একক ভাবে জোর পূর্বক ভোগ দখলে রয়েছেন আলী আশ্রাফ তালুকদার। কোন দৈব কারনে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলছে না কেউ! তা খতিয়ে দেখতে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।
নায়নগর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের পুত্র ডা: আলী হোসেন বলেন , আমার বাড়ি পার্শ্ববর্তী নায়নগর গ্রামে হলেও হোসেনপুর বাজারে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই কেয়ারের রাস্তাটি। যে রাস্তা দিয়ে নিত্য হাজার হাজার পথচারী যাতায়াত করে। বর্তমানে রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এবং চলাচলে অনুপযুক্ত হওয়ায় আমাকে মোটর বাইক নিয়ে দূর্ঘটনায় পড়তে হয়েছে। উক্ত রাস্তাটি পুনঃ মেরামতে ব্যক্তি স্বার্থ অপেক্ষা সমষ্টিগত স্বার্থ রক্ষায় সমাজবাসী ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ভুমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন বলে তিনি মনে করেন। হোসেনপুর গাউছিয়া মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র মঞ্জুরুল ইসলাম জানায়, প্রতি দিন এই রাস্তা দিয়ে শত শত ছাত্র ছাত্রী যাতায়াত করে। রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ায় স্বাভাবিক চলাচলে ঘটছে দূর্ভোগ । এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার ব্যক্তি বিশেষের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করে চলাচলের সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য অনুরোধ জানায় সে। ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক উন্নতির লক্ষ্যে ড্রেজার ব্যবহারকারীর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তাসহ দিঘীর চার পাশ মাটি দ্বারা ভরাট করে দেয়ার দাবী জানান এলাকাবাসী। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের স্বার্থে ক্ষতিকারক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার অনুরোধ জানান তারা।
