স্টাফ রিপোর্টার:
হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের শাহআলম (৫০) সম্পত্তিগত বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলার মুখে মৃত্যুবরণ করেছেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশ বিষয়টিকে অপমৃত্যু হিসেবে নথিভুক্ত করেছে। ময়না তদন্তের পরেই বিষয়টি নিয়ে পুলিশ এগুবে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, নিহত শাহআলমের বাড়ি উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের বেপারী বাড়ি। এ বাড়ির মৃত আঃ খালেকের প্রথম স্ত্রীর ঘরের সন্তান শাহআলম। পরের ঘরের সন্তানদের সাথে বাড়ির সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়েই ঘটনার সূত্রপাত।
নিহত শাহ আলমের স্ত্রী রীনা বেগম (৩৫) বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শাহআলমের বসত ঘরের একেবারে দরজার সামনে সৎ ভাই স্বপন ও হাসনাত বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে রাখে। যে কারণে আমরা গত দুই বছর ধরে ঘর থেকে বের হতে পারিনি। আজ সকালে (শুক্রবার) আমি এবং ওনি (শাহআলম)সহ একটি লেপ রোদে দেয়ার জন্য ঘর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে লেপটি বেড়ার মধ্যে আটকে যায়। এ কারণে তিনি (শাহআলম) রাগারাগি করলে স্বপন ও হাসনাত লাঠিসোটা নিয়ে তাকে মারার জন্য দৌড়ে আসে। আত্মরক্ষার জন্যে তিনি দৌড় দিলে ঘরের দরজার কাছে হঠাৎ পড়ে যান। এ সময় তাকে উঠানোর জন্যে কাছে গিয়ে দেখি, তিনি আর বেঁচে নেই।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত শাহআলম এক সময় শ্রীপুর বাজারে মুদি ব্যবসা করতেন। গত কয়েক মাস হয়েছে ব্যবসা বন্ধ করে বেকার হয়ে পড়েন। তিনি ৪ সন্তানের জনক ছিলেন।
অপমৃত্যু মামলার বিষয়ে স্থানীয় অনেককে বলতে শোনা যায়, েযহেতু শাহআলম বেঁচে থাকতেই সম্পত্তি নিয়ে ভাইদের সাথে বনিবনা ছিলো না, সেখানে শাহআলম মারা যাওয়ার পরে তার সন্তানরা নিরাপত্তাহীনতার কারণে নিয়মিত মামলা করতে ভয় পায় বিধায় মামলা দায়ের না করে অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে।
লাশ উদ্ধারকারী হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক বিপ্লব সিংহ রায় চৌধুরী জানান, এ বিষয়ে নিহতের ছেলে শাহাদাত হোসেন একটি মামলা করেছে ।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম বলেন, আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। নিহতের ছেলে অপমৃত্যু মামলায় উল্লেখ করেছে, তার চাচাদের সাথে তাদের সম্পত্তিগত বিরোধ রয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলেই বিষয়টি পরিষ্কার জানা যাবে যে, শাহআলম হত্যার শিকার না নিছক দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।