কচুয়া(চাঁদপুর)সংবাদদাতা: মুজিব শতবর্ষে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কচুয়া উপজেলায় ৫০ একর জমিতে সমালয়ে বোরো ধানের নতুন জাতের হিরা-টু-হাই ব্রিড নামক উদ্ভাবনী ধানের চাষ পরীক্ষা মূলকভাবে চাষাবাদ হচ্ছে। কৃষি সম্প্রাসারণ বিভাগ, চাঁদপুর জেলার খামার বাড়ির দেয়া এক তথ্যে এসব জানা গেছে।
কচুয়া উপজেলায় চলতি ২০২০-২১ বোরো মৌসুমে সরকারি প্রণোদনায় কৃষি পুর্নবাসন প্রকল্পের’ আওতায় এ কর্মসূচিটি এবারই প্রথম শুরু করা হয়েছে। এ প্রকল্পটি প্রতি জেলায় একটি করে উপজেলা নির্বাচন করা হয়। সে মোতাবেক চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলাকে এর আওতায় আনা হয়েছে। প্রকল্পটি কচুয়ার সহদেবপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কান্দিরপাড় নামক সমালয়ে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। গত ১৯ জানুয়ারি চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিস প্রকল্পটি উদ্বোধন করে।
এ প্রকল্পে ১২০ জন কৃষক সুবিধাভোগীর একইস্থানে অবস্থিত সমালয়ে নতুন জাতের এ ধান চাষাবাদ করতে সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ১৪ লাখ টাকা প্রণোদনা হিসেবে বরাদ্দ দিয়েছে। এ ছাড়াও সকল প্রকার প্রযুক্তি সহায়তা দিচ্ছে জেলা কৃষি বিভাগ।
প্রকল্পের অধীন কৃষকগণ চাষাবাদ থেকে শুরু করে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার, ট্রেতে চারা, সার-বীজ-কীটনাশক এর সুষম ব্যবহার, হারবেস্টার মেশিনে ঝাড়াই-মাড়াইসহ সব উদ্যোগ নেবে কৃষি বিভাগ। সার্বক্ষণিক সুবিধাভোগীদের সাথে যোগাযোগও রেখে চলছে তারা।
কোনোরকম খরচ ছাড়াই সুবিধাভোগীদের গড়ে একর প্রতি ৬ থেকে-৭ মেট্ট্রিক টন নতুন এ জাতের ধানের ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ফলন পাবে সুবিধাভোগীগণ। এর জীবন কাল ১৪০-১৪৫ দিন। দেখতে সাধারণ বোরোর মতই। উক্ত প্রকল্পে যথেষ্ট সংখ্যক কেনি গজিয়ে ধানের গোছা লক লক করে বেড়ে উঠছে। এ দৃশ্য দেখে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সোফায়েল হোসেন বলেন, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ১৯ জানুয়ারি এ নতুন উদ্ভাবনী জাতের ধান চাষের প্রকল্পটি উদ্বোদন করেন। সুবিধাভোগীদের সকল ব্যয় প্রকল্প খাত থেকে প্রণোদনা হিসেবে সরকারের কৃষিবিভাগ প্রদান করবে।
চাঁদপুরনিউজ/এমএমএ/