রফিকুল ইসলম বাবু ॥
চাঁদপুর হাইমচর উপজেলা উত্তর আলগীতে পরকিয়া প্রেমিকের হাত ধরে রুজিনা বেগম নামের এক প্রবাসীর স্ত্রী (দুই সন্তানের জননী) উদাও হয়ে গেছে। প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়ার সময় সে নগদ ৫ লক্ষ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে প্রবাসীর পরিবার। ৫ অক্টোবর বিকেলে উত্তর আলগী গ্রামের শেখ বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
উভয়ের পরিবার ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, চাঁদপুর হাইমচর উপজেলা উত্তর আলগী গ্রামের মৃত আবুল হক শেখের পুত্র নুরু শেখের সাথে ২০০৫ সালের ৭ নভেম্বর ফরিদগঞ্জ উপজেলার চর-রামপুর গ্রামের রুজিনা বেগমের পরিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের রিয়াজুল আহমেদ রাতুল (১০) নামের এক ছেলে ও ফাতেমা আক্তার নুপুর (৫) নামের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। নুরু শেখ জীবীকার প্রয়োজনে ২০১২ সালে কাতার চলে যায়। সেখানে তিনি নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে স্ত্রী রুজিনা বেগমের নামের ব্যাংক একাউন্টে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে পাঠাতো। এদিকে নুরু শেখ বিদেশ যাওয়ার পর থেকে রুজিনা বেগমের সাথে পাশ্ববর্তি কমলাপুর গ্রামের সাজু মিজির পুত্র কাঠমিস্ত্রি সবুজ মিজির পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই গত সম্পর্কের জের ধরেই গত ৫ অক্টোবর বিকেলে সবুজের হাত ধরে পালিয়ে যায়। রুজিনার প্রবাসী স্বামী নুরু শেখ জানায়, সংসারের অভাব দূর করতে এবং স্ত্রী-সস্তানের সুখের কথা ভেবে ২০১২ সালে বিদেশ চলে যাই। সেখানে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে মাসে মাসে ২০ হাজার টাকা করে পাঠিয়েছি। প্রবাসে থাকাকালিন বেশীরভাগ সময়ে স্ত্রীর মোবাইলে ফোন দিয়ে তাকে ব্যস্ত পাই। কার সাথে কথা বলছো জানতে চাইলে সে বলতো তার বাপের বাড়ির লোকের সাথে কথা বলতো। ৫ তারিখে শুনতে পাই আমার স্ত্রী সবুজের সাথে পালিয়ে গেছে। খবর পেয়ে ১৩ তারিখে আমি দেশে চলে আসি। নুরু শেখ আরো জানায়, সে আমার নিষ্পাত দুটি সন্তান রেখে প্রেমিকের হাত ধরে চলে গেছে। যাওয়ার সময় প্রায় ৫ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকারগুলো নিয়ে গেছে। এখন দুটি সন্তান নিয়ে আমাকে পথে বসতে হবে। বিষয়টি আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে জানিয়েছি। রুজিনার বড় ছেলে স্থানীয় একটি স্কুলের ৩য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী রিয়াজুল আহমেদ রাতুল বলে, আমার মা সারাদিন কার সাথে যানি কথা বলতো। আমি জিজ্ঞাসা করলে মা আমাকে মারতো। রাতুল আরো জানায়, ফার্নিচারের দোকানের সবুজ কাকা আমারে দোকানের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় মার কথা জিজ্ঞাসা করতো। আমারে টাকা দিতো, খাবার কিনে দিতো। ওইদিন বিকালে মা আমাদের ঘুমিয়ে রেখে চলে যায়। এ বিষয়ে ২নং আলগী দূর্গাপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির হোসেন দুলাল বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। এটা দুঃখজনক একটি ঘটনা। এ বিষয়ে তাদের আইনের সহায়তা নিতে পরামর্শ দিয়েছি।