গাজী নাছির:
কেন্দ্র ঘোষিত সারা দেশে কমসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল হাজীগঞ্জে বিএনপি গণমিছিল বের করে। মিছিল শেষে জনৈক বিএনপি কর্মী পশ্চিম বাজারে সাবেক শহর ছাত্রলীগ নেতা মিলনকে পানির বোতল ছুড়েঁ মারা কে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ২ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ও ১৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পরে আওয়ামী সমর্থকরা বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে ভাংচুর চালায়। দলীয়ে কার্যালয়ের ভিতরে অবস্থানরত বিএনপি সমর্থিত কয়েক নেতা কর্মী আহত হয়। এদের মধ্যে বাকিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মারাত্মক আহত হন। আহত অন্যান্যরা হলেন, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এমএ নাফের শাহ্, যুগ্ম আহবায়ক আক্তার হোসেন দুলাল, খোরশেদ আলম ভূট্টু, শাহাদাৎ হোসেন ফুকু, বিএনপি নেতা ও ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন কলন্তর, যুবদল নেতা আবুল কালাম, মিলন মেম্বার, জহিরুল হক তালুকদার, কবির হোসেন, শহর ছাত্রলীগের সভাপতি শুকুর আলম শুভ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পারভেজ হায়দার সূজন, সাবেক শহর ছাত্রলীগ নেতা মাহাবুব আলম মিলনসহ অজ্ঞাত আরো অনেকে। এর মধ্যে চেয়ারম্যান মিজানকে উপজেলা কমপ্লেঙ্ থেকে রাতে কুমিল্লা মেডিক্যাল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
গতকাল আছরের নামাজের কিছু পর বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠন কয়েক শতাধিক নেতাকর্মীর অংশ গ্রহণের পশ্চিম বাজারস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে এক বিশাল গণমিছিল বের করে। মিছিলটি বাজারের আমিন রোডের মুখ প্রদক্ষিণ করে। দলীয় কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে আসার পথে মিছিলের পেছনের অংশটি হাজীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ রোডস্থ মাথায় এসে পৌছলে মিছিল থেকে একুশে পুষ্পালয়ের দোকানের ভিতরের সাবেক পৌর ছাত্রলীগ নেতা মাহবুবুল রহমান মিলনকে লক্ষ করে ঢিল ও পানির বোতল ছুঁড়ে মারে। এ থেকেই ছাত্রল ীগের কয়েক নেতা কর্মীর সাথে বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে বাক-বিতন্ডা হয়। তাৎক্ষণিক পুলিশ পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়লে আওয়ামীলীগ সমর্থীত কিছু কর্মী পশ্চিম বাজারস্থ বিশ্ব রোড চৌরাস্তায় পৌছলে বিএনপি সমর্থকদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় বিএনপি সমর্থীত কিছু কর্মী দুইটি সিএনজি স্কুটার ভাংচুর করে। পুলিশ তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে ২ রাউন্ড কাঁদানি গ্যাস নিক্ষেপ করে। এরপর বিএনপি নেতাকর্মীরা রামগঞ্জ সড়ক ধরে ডাকাতিয়া সেতুর দক্ষিণ পাড়ে চলে যায়। এরপর আওয়ামী সমর্থীত কর্মীরা বিএনপির দলীয় কার্যালয়টিতে ভাংচুর চালায়। সন্ধ্যার পর আওয়ামী সমর্থকরা একটি মিছিল নিয়ে হাজীগঞ্জ বাজারে পৌছলে কাপড়িয়া পট্টির মুখে পৌছলে পুনরায় পুনরায় আওয়ামীলীগ বিএনপির ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে পুলিশ পৌছে তা নিয়ন্ত্রনে আনে। সংর্ঘষ শুরু হবার কিছুক্ষণ পর চাঁদপুর থেকে অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশ বাজারের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই দলের নেতাকর্মীদের মাঝে থমথমে বিরাজ করছে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে কাঁদানি গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করতে হয়েছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
শিরোনাম:
রবিবার , ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৪ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।