শাহায়ারির খান কৌশিক ॥
হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল থেকে রাতের আধারে মটরসাইকেল চুরি করে উধাও হওয়ার পর চাঁদপুর শহরের বাবুরহাট এলাকা থেকে চোরাই মটরসাইকেল সহ চোর কে আটক করা হয়েছে। হাজীগঞ্জের তরুনলীগের নেতার হস্তক্ষেপে আলীগঞ্জ কংগ্রাইস গ্রামের চিহ্নিত মোটরসাইকেল চোর রুবেল (২৮) চোরাই মটরসাইকেল নিয়ে চম্পট হয়েছে।
মটরসাইকেলের মালিককে গাড়ি বুঝিয়ে দেয়ার কথা বলে রাজনৈতিক দলের ঐ তরুণলীগের নেতা তালবাহানা শুরু করেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত আট মাস পূর্বে বলাখাল সুবিদপুর গ্রামের নোয়াবাড়ি রফিকের বসত ঘর থেকে মুন্সি মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমানের ১০০ সিসি কালো রঙের বার্জাস মটর সাইকেল রাতে চুরি করে নিয়ে যায় চিহ্নিত মোটরসাইকেল চোর রুবেল মাস্তান। ঘটনার দিন বিকেলে আলীগঞ্জ বাজার সংলগ্ন, কংগ্রাইস গ্রামের দেলু মাস্তানের ছেলে রুবেল বলাখাল নোয়াবাড়িতে তার বোন মালেক নোয়ার স্ত্রী সীমার বাড়িতে বেড়াতে আসে। ঐদিন গভীর রাতে মোটরসাইকেল রুবেল রফিকের বসতঘর থেকে ডিসকভার মটরসাইকেলটি চুরি করে উধাও হয়ে যায়। এরপরদিন চোর রুবেলকে তার এলাকা থেকে খবর দিয়ে নিয়ে বলাখাল এনে স্থানীয় শালিশীর মাধ্যমে বিচার হয়। এসময় সে মোটরসাইকেল চুরি করেনি বলে জানায় এবং সাদা কাগজে যদি কখনো চুরি হওয়া মটরসাইকেল নিয়ে তাকে দেখতে পায় তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে শাস্তি প্রদান করার অঙ্গিকার দিয়ে সবার সামনে স্বাক্ষর প্রদান করেন। মটরসাইকেলটি চুরি করে রুবেল মাস্তান তার এলাকায় নিয়ে রাখে। মটরসাইকেল চুরি হওয়ার আট মাস পর গত ৫ই জানুয়ারি হাজীগঞ্জের তরুণ লীগের নেতার সাথে সে চুরি করা মটরসাইকেল নিয়ে চোর রুবেল চাঁদপুর আসে। ঐদিন বিকেলে বাবুরহাট দিয়ে যাওয়ার সময় চুরি হওয়া মটরসাইকেলটি সহ রুবেলকে আটক করা হয়। এসময় রাজনৈতিক দলের নেতা বাবুরহাট বাজার কমিটিকে বুঝিয়ে চুরি হওয়া মটরসাইকেটি কাগজপত্র যাচাই বাচাই করে প্রকৃত মালিক আঃ রহমানকে দিয়ে দেয়ার অঙ্গিকার করে চোর রুবেলকে নিয়ে চলে যায়। এর পরদিন গাড়ীর কাগজপত্র নিয়ে নেতার কাছে গেলে সে গাড়াটি না দেয়ার জন্য তালবাহানা শুরু করে। এ ঘটনায় গাড়ির মালিক আঃ রহমান হাজীগঞ্জ থানা পুলিশকে কবিষয়টি অবগত করে। হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ চুরি হওয়া গাড়িটি থানায় নিয়ে আসার জন্য সোহাগ কাসারীকে অনুরোধ করলেও তিনি মটরসাইকেলটি না এনে চোর রুবেলকে বাচানোর চেষ্টা চালায় এবং মটরসাইকেল নিয়ে রুবেল উধাও হয়ে গেছে বলে তিনি পুলিশ কে জানায়। এব্যাপারে নেতার সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, মটরসাইকেলের মালিক কে কাগজপত্র নিয়ে এসে গাড়িটি নিজের বলে প্রমাণ করার জন্য বলা হয়েছে। গাড়িটি যদি তার হয়ে থাকে তাহলে গোপন কোন চিহ্ন দেখাতে পারলে গাড়িটি তাকে দেয়া হবে না । দেখাতে পারলে দেয়া হবে না। চুরি হওয়া মটরসাইকেলটি প্রকৃত কাগজপত্র দেখানোর পরেও হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ মটরসাইকেলটি উদ্ধার করতে ব্যর্থ হওয়ায় অবশেষে গাড়ির মালিক আঃ রহমান চাঁদপুর ডিবি পুলিশের বরাবর চোরের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আরিচুল হক জানায়, চুরি হওয়া মটরসাইকেলটি উদ্ধার করার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এর সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।