রিফাত কান্তি সেনঃ-
নেই জমিদার,নেই জমিদারি ও। আছে শুধু জমিদারের রেখে যাওয়া স্থাপত্য। “সেই
রাম নেই,নেই রাজত্ব” বাংলা প্রবাদের এই কথাটির সঙ্গে জেনো পুরোটাই মিলে
গেছে চাঁদপুর জেলার,ফরিদগঞ্জ থানার, কড়ৈতলী নামক গ্রামে অবস্থিত জমিদার
বাড়িটির। নামে জমিদার বাড়ি হলে ও এখন এটি ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়েছে।
জমিদার বাড়িটি বাবুর বাড়ি নামেই সকলের কাছে পরিচিত। জমিদার বাড়িটি ঘিরে
রয়েছে কয়েক’শ বছরের ইতিহাস। চাঁদপুর শহর থেকে ৪০ কিঃমিঃ দূরে
অবস্থিত,ছায়া ঢাকা, সবুজের সমারহে বিবর্ন গ্রাম কড়ৈতলী। জমিদার বাড়িটি
এখন কালের সাক্ষী হয়ে আছে। নেই জমিদারদের হাতি,ঘোড়া,নেই পাক-পেয়াদাও।
ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে দূর্গা মন্দির,রয়েছে জরাজীর্ন লতা-পাতা
মোড়ানো বিধ্বস্ত প্রাসাদ, আট্টালিকা। রয়েছে ঐতিহ্যবাহী কাছারি
ঘর,সুরঙ্গপথ। জানা যায়,১২২০ সালে হরিশ চন্দ্র বসুর হাত ধরে জমিদারদের
কড়ৈতলীতে প্রত্যাবর্তন। ১৯৫১ সালে শেষ জমিদার গোবিন্দ চন্দ্র বসুর হাত
ধরে সমাপ্তি ঘটে রাজ পরিবারের। তিনশো একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত জমিদার
বাড়িটির অস্তিত্ব এখন সামান্য যায়গা নিয়ে। তার উপর যা আছে তা ও যথাযথ
পর্যবেক্ষণ এর দরুন বিলুপ্ত হতে চলেছে। লোকমুখে শুনা যায়,ততকালীন
জমিদাররা ছিলেন অত্যাচারী,হিংস্র,স্বভাবের। তাদের সামনে দিয়ে কেউ জুতা
পায়ে হেঁটে যেতে পারতো না।এমন কি ছাতা মাথায় ও দেয়া যেতো না!
জমিদারদের কর্মচারী হিসেবে সেখানে অনেক পরিবার ই এখন সেখানে বসবাস করছেন।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়,বহু দূর , দূরান্তের পথ পারি দিয়ে,
ভ্রমন প্রিয়সী মানুষ, জমিদার বাড়িটি দেখতে ছুটে আসেন এখানে। জমিদারদের এই
নিদর্শন টি আকৃষ্ট করে পর্যটকদের। কিন্তু জমিদার বাড়িটির যতাযথ পরিচর্যার
অভাবে বিলিন হতে চলেছে। এলাকাবাসী মনে করেন, প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের
হস্তক্ষ্যাপে হয়তো জমিদার বাড়িটি ও হতে পারে অন্যতম এক পর্যটন কেন্দ্র।
এর রক্ষনা,বেক্ষন এর ফলে নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে ততকালীন জমিদারদের
ইতিহাস,ঐতিহ্য। তেমনি ঐ গ্রামের মানুষের অর্থনীতির চাকা ও হবে আরো
বেগবান। এমন টা মনে করেন এলাকাবাসী। আমরা ও প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের
দৃষ্টি আকর্ষন করছি।