ঐতিহ্যবাহী বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশী আমেরিকান ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলি অব কানেকটিকাট (BAFFAC)- উদ্যেগে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল ৩.০০ ঘটিকা থেকে এবং শেষ হবে রাত ১০.০০ ঘটিকায়।
পুরো অনুষ্ঠান সাজানো হবে নতুন স্নিগ্ধ আলোয় স্নাত প্রকৃতির গান, মানবপ্রেম-দেশপ্রেম আর আত্মবোধন-জাগরণের সুরবাণী দিয়ে।
এছাড়া থাকছে আরো বিভিন্ন অনুষ্ঠান। যেমনঃ ১. বৈশাখী মেলা ২. শিশুদের আল্পনা অঙ্কন ৩. বর্ষবরণ শোভাযাত্রা, ৪. শিশুদের যেমন খুশি তেমন সাজো ৫. স্থানীয় শিল্পীদের গীতি নৃত্যালেখ্য ৬. বর্ষবরণ ১৪৩১ স্মরণীকা
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অতিথি শিল্পী হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিল্পী রিজিয়া পারভিন এবং বাংলাদেশের আরো অনেক শিল্পী উপস্থিত থাকবেন একক গান পরিবেশনের জন্য।
এক সময় নববর্ষ পালিত হতো আর্তব উৎসব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির, কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। পরে কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য মোঘল সম্রাট আকবরের সময়ে বাংলা সন গণনার শুরু হয়। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এই বাংলা সন। অতীতে বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা।
এটি পুরোপুরিই একটি অর্থনৈতিক ব্যাপার। গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে তাঁদের পুরানো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তারা নতুন-পুরাতন খদ্দেরদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ করতেন এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এ অনুষ্ঠানটি আজও পালিত হয়।