প্রতিনিধি
গত ৩/৪ দিন যাবত চাঁদপুরের কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার সর্বত্র ডাকাত আতঙ্কে মানুষ এখন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। রাতভর লাঠিসোঠা নিয়ে গ্রামের বিভিন্ন রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসে পাহারা দিচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে প্রথমে জানা গেলো শাহরাস্তির কাজির কামতা ও ভোলদিঘি বাজারে একদল ডাকাত প্রবেশ করেছে। সেখানে খোঁজ নিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়নি। মোবাইলে ওই এলাকায় ডাকাত ঢুকেছে ওই এলাকায় ডাকাতরা সব লুট করে নিয়ে গেছে এরকম গুজম ছড়িয়ে জনগণকে আতঙ্কিত করে তোলা হয়। এর ফলে বিজয়পুর, খিলা, উপলতা, নিজমেহার, সূচীপাড়া, টামটা, আশ্রাফপুর, জগৎপুর, মালরাসহ উপজেলার সর্বত্র ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। থানা পুলিশ অদৃশ্য ডাকাতের পেছনে ছুটতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ডাকাতের সন্ধান পাওয়া যায়নি। উপজেলার ইতিহাসে একযোগে জনগণ রাস্তায় নেমে আসার ঘটনা এটিই প্রথম। শাহরাস্তি পৌরসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার ১ দিনের মাথায় এমন একটি ঘটনা উপজেলার সকলকে নাড়া দিয়ে যায়। এ ব্যাপারে শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান জানান, ডাকাতের ব্যাপারে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কীভাবে এ সংবাদ ছড়িয়েছে তাও বলা কঠিন। সবাই বলে আমরা শুনেছি। জনগণ সতর্ক রয়েছে, কিন্তু অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। এদিকে বুধবার সকালে সংবাদ আসে জগৎপুর বাজারে ১ ডাকাত সদস্যকে আটক করা হয়। জনগণ তাকে আটক করে বেঁধে রাখে। কচুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে কচুয়া থানার ওসি ইব্রাহিম খলিল জানান, জনগণ এক লোককে আটক করে, আমরা গিয়ে দেখতে পাই সে মানসিক রোগী। পরে তাকে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বুধবার রাত প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে কচুয়া উপজেলাজুড়ে বিভিন্ন মসজিদের মাইক থেকে এলাকায় ডাকাত ঢুকেছে বলে মাইকিং করা হয়। এতে আতঙ্কে শত-শত মানুষ লাঠি সোটা নিয়ে রাস্তায় নেমে আসে। কিন্তু কোথাও ডাকাতের সন্ধান পাওয়া যায়নি। কিন্তু কি কারণে কে বা কারা গুজব ছড়িয়ে মানুষকে আতঙ্কিত করছে তা জানা যায় নি।