নির্বাচনী সহিংসতায় চাঁদপুরে ২জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১জন কচুয়ার ও ১জন হাইমচরের। বুধবার বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতায় ছুরিকাঘাতে তারা মারা যান। পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কচুয়ার সাচার এলাকায় নিহত যুবকের নাম শরীফ হোসেন। তার বাবার নাম শহীদ উল্লাহ, গ্রাম হাতিরবন্ধ। দুই মেম্বার প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ দেখা দিলে চুরিকাঘাতের শিকার হন শরীফ। হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
চাঁদপুর জেলার কচুয়া, ফরিদগঞ্জ ও হাইমচরের ২৯টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কচুয়া উপজেলার ১২টি, ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ও হাইমচর উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলে। ভোটারগণ যাতে নির্বিঘেœ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সেদিকে প্রশাসনের তীক্ষè নজর রয়েছেন বলে জানা যায়।
একাধিক ভোটার জানান,ভোট প্রদানের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকলে বিগত ৪ ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনের তুলনায় পঞ্চমধাপের নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণে প্রশাসনের ব্যাপক তৎপরতা চোখে পড়েছে। প্রশাসন ব্যাপক কার্যক্রমও গ্রহণ করেছেন। নির্বাচনে জনগণের মাঝে উৎকণ্ঠা ও আতঙ্ক বিরাজ করলেও ভোটারদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায় ।
জানা যায়,কচুয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬৬জন, সংরক্ষিত আসনে মহিলা সদস্য পদে ১শ ২০ ও সাধারণ সদস্য পদে ৫শ ১৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
এদিকে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ৭৩জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ১২৫ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী ও ৪শ ৯৩ জন সাধারণ সদস্য অংশ গ্রহণ করছেন।
অন্যদিকে হাইমচর উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে হাইমচরে ৫ জন, আলগী দক্ষিণে ৪ জন, আলগী উত্তরে ৫ জন, নীলকমলে ৫ জনসহ মোট ১৯ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৩৮ জন ও সাধারণ সদস্য পদে মোট ১২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।