চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসকের ভূল চিকিৎসায় মুন্নি আক্তার নামের গর্ভবতি মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে স্বজনরা। ঘটনার পরপর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও স্টাফ পালিয়ে যায়। মৃতের স্বজনরা পরে জড়ো হয়ে ক্লিনিকে ভাংচুর চালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শনিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মুন্নি চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচন্ডি গ্রামের মুন্সি বাড়ির দিদার হোসেনের স্ত্রী। মুন্নির শাশুড়ি রীনা বেগম, চাচী আমেনা বেগমসহ কয়েকজন স্বজন জানায়, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে মুন্নির প্রসব বেদনা শুরু হলে চাঁদপুর মাতৃমঙ্গল স্বাস্থ্য ক্লিনিকে রওনা হন। এসময় মুক্তি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর নির্ধারিত দালালের খপ্পরে পড়ে এখানে নিয়ে আসতে হয়। পরে তাকে আল্টাসোনোগ্রাম করে পরিক্ষা করে সিজার করাতে হবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়।
পরে অপারেশনের জন্য এনেসথিসিয়া করলে মুন্নির হার্টবিট বন্ধ হয়ে যায়। এসময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর স্ট্রোক হয়েছে বলে বিকেল ৫টার দিকে কুমিল্লা মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। এমনকি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ্যাম্বুল্যান্সও ঠিক করে দেয়। পথিমধ্যে চাঁদপুর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে বাকিলা যাওয়ার পর এ্যাম্বুল্যান্সে থাকা মুন্নির স্বাজনরা বুঝতে পারে সে মারা গেছে। পরে হাজীগঞ্জের একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে আরো দুই ঘন্টা আগে রোগী মারা গেছে বলে জানান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত চাঁদপুর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক খন্দাকার মো. ইসমাইল হোসেন জানান, ভুল চিকিৎসা কিনা তা এখন তাৎক্ষণিক ভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে ডাক্তার সামছুন্নাহার তানিয়া ও মো. নাজমুল হাসান অপারেশনের জন্য প্রস্তুতি নিলেও তারা অপারেশন করেন নি। এঘটনায় রাত ১২টা পর্যন্ত ক্লিনিক এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলেও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রণে রাখেতে সক্ষম হয়। এছাড়া লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে চাঁদপুর সরকারি হাসপতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।