মা ইলিশ রক্ষায় সরকার ৯ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত ২২ দিন সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অভয়াশ্রম চলাকালীন সময় মেঘনা নদীতে প্রকাশ্যে কারেন্ট জাল ফেলে মা ইলিশ নিধন করতে দেখা যায়। অসাধু জেলেদের কারণে মা ইলিশ রক্ষায় সরকারের কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পথে।
পুলিশ প্রশাসনের সাথে কন্টাক করে জেলেরা নদীতে ইলিশ নিধন করছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।
চাঁদপুর পুরান বাজার হরিসভা থেকে রওনা গোয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদীতে প্রকাশ্যে কারেন্ট জাল দিয়ে জেলেরা মাছ নিধন করছে।
এছাড়া দোকানঘর, বহরিয়া, লক্ষ্মীপুর গুচ্ছগ্রাম, আখন ঘাট মেঘনা নদীতে দেদারছে মা ইলিশ নিধন করতে দেখা যায়।
ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পুরান বাজার রওনা গোয়াল শাহজাহানের মাছের আরদ, লক্ষ্মীপুর গুচ্ছগ্রাম নদীর পাড়ে ও চান্দা ইউনিয়নের বাখরপুর গম্বুজ মসজিদের পিছনে যুবলীগ নেতা মমিনের মাছের আরদে চলছে মাছ বেচাকেনা। বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল ও সিএনজি যোগে মাছের আরদ গুলোতে গিয়ে মাছ ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে।
বেশ কিছু জেলে জানায়, অভয়াশ্রম চলাকালীন সময়ে সরকারের মহৎ উদ্দেশ্য সফল করার লক্ষে অধিকাংশ জেলেরা নদীতে মাছ ধরছে না। কিছু অসাধু ছেলে প্রশাসনের সাথে টাকার বিনিময় ম্যানেজ করে ঘন্টা হিসেবে নদীতে মাছ ধরছে।
২২ দিনের অভয়াশ্রমে নৌ পুলিশ সহ কিছু প্রশাসনের লোকজন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে।
প্রশাসন যদি সঠিকভাবে তদারকি করতো তাহলে কোন অবস্থাতেই জেলেরা নদীতে গিয়ে মাছ ধরতে সাহস পেত না।
পুলিশের কিছু সদস্য সড়কে ধাওয়া করে মাছ ধরে সিএনজি বোঝাই করে নিয়ে তারা ভাগবাটোয়ারা করে নেয়।
প্রকাশ্যে নদীতে মাছ ধরায় ও প্রশাসনের এই অভিযানকে গিরে স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।