শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক ॥
চাঁদপুর শহরের বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজের খন্ডকালীন সহকারী ইংরেজি শিক্ষক অঞ্জন কুমার দে (৩৬) স্কুল ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক বার ধর্ষণের ঘটনায় মডেল পুলিশ তাকে আটক করে আদালতে প্রেরন করে। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরন করে। ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে মেডিক্যেল করিয়ে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্ধি দেওয়ার জন্য আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনাটি অন্য দিকে প্রভাহিত করার জন্য হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা ষড়যন্ত্র মূলকভাবে এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজের ইংরেজি শিক্ষক অভিযুক্ত অঞ্জন কুমার দে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা হওয়ায় তাকে মামলা থেকে বাঁচালোর জন্য একটি চক্র মরিয়া হয়ে উঠেছে। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী প্রবাসী মেয়ে লম্পট শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ ও তার মা রোকেয়া বেগম বাদি হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় ধর্ষন মামলা দায়ের করে। মামলা নং ১৯ তারিখঃ ১০/৯/১৫। হিন্দু শিক্ষক মুসলিম ছাত্রীকে ধর্ষন করায় এলাকাবাসী ও বিক্ষোভদ্ধ ছাত্ররা অভিযুক্ত অঞ্জন কুমার দের মালিকানাধীন শিলন্দীয়া গ্রামে বাবুরহাট মডেল একাডেমির কোচিং সেন্টার ভাংচুর করে। খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার ওসি তদন্ত আরিচুল হক এস.আই সেলিম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। চাঁদপুর মডেল থানার ওসি তদন্ত আরিচুল হক ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস.আই জাহাঙ্গীর দক্ষতার পরিচয় দিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পালাতক অঞ্জন কুমার দেকে দক্ষিন বালিয়া নাহা বাড়ি মন্দিদের পাশ থেকে মোবাইলে কথা বলার সময় আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজের খন্ডকালীন ইংরেজির সহকারী শিক্ষক শিলন্দীয়া গ্রামের বাবুরহাট কলেজের পিছনে শ্রী নান্টু চন্দ্র দের ছেলে অমল কুমার দে মডেল টাউনে প্রবাসীর বাড়িতে গিয়ে তাদেরকে পড়াতেন। সেই সময়ে শিক্ষক ছাত্রীর মধ্যে গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে অমল কুমার দের মালিকানাধীন বাবুরহাট মডেল একাডেমীতে নিয়ে স্কুল ছাত্রীকে পড়াশুনা করাতেন। সেখানে স্কুল ছাত্রীকে পরীক্ষা প্রশ্নপত্র দিবে ও পাশ করিয়ে দেওয়া প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এছাড়া স্কুল ছাত্রী মা রোকেয়া বেগমের কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা হাওলাত নিয়ে না দেওয়ায় ও একাধিকবার ধর্ষণের ঘটনাটি গত বুধবার সকালে স্কুল ছাত্রী বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেনকে জানায়। ধর্ষণের ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বুধবার দুপুরে অঞ্জন কুমার দে এক স্কুল ছাত্রের মাধ্যমে তার অব্যহতি পত্র স্বেচ্ছায় অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেনের কাছে পাঠিয়ে দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রী ও তার মা লিখিতভাবে অধ্যক্ষের কাছে অভিযুক্ত অঞ্জন কুমার দের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ ও চাঁদপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নিযার্তন আইনে অভিযুক্ত অমল কুমার দের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পর অবশেষে পুলিশ তাকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরন করেন।