অমরেশ দত্ত জয়/প্রান কৃষ্ণ দাসঃ চাঁদপুর নৌ বন্দরের লঞ্চঘাটে যাত্রী হয়রানি প্রতিরোধে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধা সরকার সঙ্গীয় ফোর্সসহ ব্যাপক তৎপরতা চালিয়েছেন।
২৬শে নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে ঝাটিকা অভিযানের মাধ্যমে তিনি এ তৎপরতা চালিয়েছেন।
এদিকে অভিযানে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি নাসিম উদ্দিন, ইন্সপেক্টর(তদন্ত) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (এডমিন) সাইফুল ইসলাম সহ বিভিন্ন ইউনিটের পুলিশ ফোর্স অংশ নেন।
জানা যায়, নামে বেনামে লোক দাঁড়িয়ে লঞ্চঘাটে ইজারাদার বলে পরিচয় দেয়। যাদের নির্দিষ্ট কোন পোষাক না থাকায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়। একই অবস্থা সিএনজি চালকদেরও। এদেরও কোন নির্দিষ্ট পোশাক না থাকায় আইন-শৃঙ্খলা অবনতি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। একই সাথে যাত্রীদের নিয়ে টানাহেঁচড়া, যত্রতত্র গাড়ি রেখে যানজট সৃষ্টি, নির্ধারিত ভাড়ার বেশি ভাড়া দাবি করাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। যা নিয়ে পত্র-পত্রিকায় সাংবাদিকরা একাধিক সমস্যা প্রতিবেদন করেছে। তারই প্রেক্ষিতে এ অভিযান চালানো হয়।
এসব বিষয় নিশ্চিত করে অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধা সরকার জানান, যাত্রী হয়রানি রোধে আমরা কয়েক দিন আগে লঞ্চঘাট সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি সভা করেছিলাম। তখন আমরা সিএনজি ড্রাইভারদের পোশাক থাকা, ইজারাদারদের তাদের নির্দিষ্ট জায়গায় থাকাসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ম-শৃঙ্খলার বজায় রাখার ব্যপারে কথা বলেছিলাম। কিন্তু তারা সেটা মানেনি। তারই প্রেক্ষিতে অভিযান চালানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, যাত্রী হয়রানী প্রতিরোধে নানা অভিযোগে ২১জন সিএনজি চালককে আটক করা হয়। পরে সতর্ক করে শর্তসাপেক্ষে তাদের মুচলেখা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।