রফিকুল ইসলাম বাবু।
চাঁদপুর হাইমচরের মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধার অভিযান ৬০ঘন্টা পর সমাপ্ত ঘোষণা করেছে। শুক্রবার সকাল ৮টায় চাঁদপুর নৌ-বাহিনীর সাব লে: মো: আক্কাস বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ৬০ ঘন্টা পর ট্রলারের অবস্থান সনাক্তকরন করে ট্রলারে শুধু একটি ব্যাগে লেপটপ, ঔষধ ও সাবান পাওয়া গেছে। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাজী ইয়াছিন রতন এর উপস্থিতিতে নিখোঁজ আহম্মদ সিকদারের পিতা শাহান শাহ শিকদারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত নিঁেখাজ ১০জনের কোনো হদিস মিলেনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সরোয়ার কামাল ও উপজেলা চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারী জানায়, ট্রলারটি উদ্ধারে প্রায় ৬০ ঘন্টা ৫টি টিম অবিরাম কাজ করেছে। চাঁদপুর নৌ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ এবং ১৩ সদস্য বিশিষ্ট্য নৌ বাহিনীর একটি বিশেষ দল। নিখোঁজদের ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে পারেনি উদ্ধারকারী দল। ট্রলার ও লাশ উদ্ধারে সকল ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। উপজেলা প্রশাসন উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করেনি। স্থানীয়ভাবে জাহাজটি উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে।
চাঁদপুর নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিএম নুরুজ্জামান বলেন, নিখোঁজদের কোনো মৃতদেহ ভেসে উঠে কীনা সে ব্যাপারে প্রতিটি ফাঁড়ি ইনচার্জকে বলে রাখা হয়েছে। আর যে তেলবাহী ট্যাংকারের সাথে ধাক্কা লেগেছে সে ট্যাংকারটি এখনও সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ-র সহকারি উপ-পরিচালক এস এম মাহফুজ উল আলম সজল জানান, ট্রলার উদ্ধারে ট্রলারের মালিককে ব্যবস্থা নিতে হবে। মালিক আবেদন করলে আমরা বড় উদ্ধারকারী জাহাজ খবর দেব। আর এটি উদ্ধারে যদি মালিক পক্ষ কেনো ব্যবস্থা না নেয় তবে আমাদের নৌ চ্যানেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির দায়ে মামলা করা হবে। বিআইডব্লিউটিএ এবং চাঁদপুর নৌ পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানায়, ট্রলারটি উদ্ধারে প্রায় ৬০ ঘন্টা ৫টি টিম কাজ করেছে। চাঁদপুর নৌ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ এবং ১৩ সদস্য বিশিষ্ট্য নৌ বাহিনীর একটি বিশেষ দল। ৫৩ঘন্টাপর ট্রলারের অবস্থান সনাক্ত করা গেলেও নিখোঁজদের ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে পারেনি উদ্ধারকারী দল। ট্রলার মালিক মালিক ও প্রশাসনের দ্বিধাদ্বন্দের অবসান করে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি যাতে উদ্ধার করা হয় এমনটাই দাবি নিখোঁজদের স্বজন ও স্থানীয়দের।