গোলাম মোস্তফা
দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ‘বুয়েটে’র আগামী ৪ বছরের জন্য নিয়োগকৃত নতুন ভিসি বা ভাইস চ্যান্সেলর সত্য প্রসাদ মজুমদার চাঁদপুর শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডিএন উচ্চ বিদ্যালয় ও চাঁদপুর সরকারি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। দেশের সর্বোচ্চ কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রথম এ প্রতিষ্ঠানের কোনো কৃতী ছাত্র সর্বোচ্চ পদে আসীন হয়েছেন।
এদিকে বুয়েটে ভিসি পদে সত্যপ্রসাদ মজুমদারকে নিয়োগ দেয়ার সংবাদটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পরপরই তাঁর মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ডিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চাঁদপুর সরকারি কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে আনন্দের বন্যা দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তাঁরা প্রাক্তন এ ছাত্রের শুভ কামনা করেন।
বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী নির্বিশেষে সকলেই তাঁর এ পদে আসীন হওয়ায় বিভিন্নভাবে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী ডিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সত্য প্রসাদ মজুমদারকে রাষ্ট্রপতির এক আদেশে আগামী চার বছরের জন্যে বুয়েটের ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। একজন সৎ, নীতিবান, অমায়িক মানুষকে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও শিক্ষামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন চাঁদপুর ডিএন উচ্চ বিদ্যালয় বা দ্বারকানাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও ম্যানেজিং কমিটি।
সত্য প্রসাদ মজুমদারের জন্মস্থান ফেনী দাগনভূঞা-এর রামনগর গ্রামে ১৯৫৮ সালে। তিনি ১৯৬৫ সালে চাঁদপুর ডিএন উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সত্য প্রসাদ মজুমদারের বাবা মনোরঞ্জন মজুমদার, মা গায়ত্রী মজুমদার। বাবা মনোরঞ্জন মজুমদার ছিলেন চাঁদপুর ডিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক। ঐ সময়ে একজন আদর্শবান শিক্ষক হিসেবে তাঁর যথেষ্ট সুনাম ছিলো। যে কারণে পুরো পরিবার চাঁদপুরে বসবাসের সুবাদে সবাই তাঁদেরকে চাঁদপুরের সন্তান হিসেবে জানতো।
সত্য প্রসাদ মজুমদার ডিএন হাই উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ সালে স্টার মার্কসসহ এসএসসি পাস করেন। ক্লাস ফাইভে এবং ক্লাস এইটেও তিনি বৃত্তি পান। চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে এইচএসসি পাস করে তিনি বুয়েটে ভর্তি হন। বুয়েট থেকে তিনি ১৯৮১ সালে পাস করে এ প্রতিষ্ঠানে তড়িৎ ও ইলেকট্রিক প্রকৌশল বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ভারতের খড়গপুর থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
মনোরঞ্জন মজুমদারের ছোট ছেলে সত্য প্রসাদ মজুমদার। বড় ছেলে রাম প্রসাদ মজুমদার, তিনিও ইঞ্জিনিয়ার। মেঝ ছেলে রমা প্রসাদ মজুমদার, তিনিও ইঞ্জিনিয়ার। সেজো ছেলে শ্যামা প্রসাদ মজুমদার বুয়েট থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছেন।