শওকতআলী:
চাঁদপুর জেলাধীন ফরিদগঞ্জ উপজেলার আলোনিয়া গ্রামে শিশু শ্রেনীতে পড়ুয়া এক ছাত্র ইমন(৬)কে একই গ্রামের রাকিব(১৮)জোর পূর্বক মুখে চাপ দিয়ে ধরে তাকে বলাৎকার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা জানাজানি হয় শনিবার সন্ধ্যায়। ঘটনাটি ঘটেছে, শনিবার বিকেলে ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের দক্ষিণ আলোনিয়া গ্রামের পাশর্^বর্তী একটি বাগানে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী,ইমনের পিতা-মাতা ও আত্বীয় স্বজন রাকিবের দৃস্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করেছে।
এ ঘটনায় রবিবার শিশু ইমনের পিতা বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে।
শিশু ইমনের দাদা শহীদুল্লাহ বেপারীও পিতা বাবুল বেপারীর সাথে আলাপ কালে জানা গেছে, আলোনিয়া গ্রামের বেপারী বাড়ির শিশু ইমনসহ কয়েকজন শিশুটি খেলার ছলে পাশর্^বর্তী বিলে যায়। এ সময় একই এলাকার পাশর্^বর্তী বাড়ির আবুল বাশারের ছেলে বখাটে যুবক রাকিব (১৮) বলাৎকারের শিকার ঐ শিশুটিকে চকলেট ও টাকার লোভ দেখিয়ে কৌশলে বাগানে নিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকার করে পায়ুপথ রক্তাক্ত জখম করে গুরুত্বর ভাবে আহত করে। শিশুটি ঘটনাস্থলে চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এ সময় পাষন্ড নরপিচাশ রাকিব পালিয়ে যায়। পরে তার পিতা তাকে খুজে না পেয়ে অন্য শিশুদের জিজ্ঞেস করে ঘটনাস্থল থেকে শিশুকে সন্ধ্যায় উদ্বার করে ইউপি চেয়ারম্যান বাছির আহম্মদকে ঘটনা সম্পর্কে জানান। তার নির্দেশ মোতাবেক রাত সাড়ে ৭টায় ফরিদগঞ্জ চতুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে শিশু ইমনকে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে শিশুটিকে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। এ রিপোট লেখা পর্যন্ত শিশুটিকে অজ্ঞান অবস্থায় চিকিৎসা দেওয়া হচেছ। এ ব্যাপারে ১১নং আলোনিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান বাছির আহম্মদ জানান, আমি বিষয়টি জেনেছি, শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছি। ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহআলম (এলএলবি) জানান, এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।