স্টাফ রিপোর্টার:
ফাঁসি কার্যকর হওয়া মুফতি হান্নানের আরেক সহযোগী জঙ্গি শরীফ শাহেদুল আলম বিপুলের লাশ দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হয় তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর সদরের মৈশাদীতে। বিপুলের লাশ গ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছিলেন তার পিতা হেমায়েত হোসেন পাটওয়ারী মন্টু। কারা কর্তৃপক্ষের আহ্বানে কাশিমপুর কারাগারে তিনি বিপুলকে শেষ দেখা করতে যাননি। গতকাল রাতে তার ফাঁসি কার্যকর হয়। এনিয়ে চাঁদপুরে তার গ্রামের বাড়িতে ছিলনা কোন আলোচনা। কিন্ত রাত ৮টার পর প্রশাসনের নজরদারিতে তার পারিবারিক কবরস্থানে কবর খোঁড়া হয়। বর্তমানে তার বাড়ি প্রশাসনের নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছে বলে চাঁদপুর মডেল থানার ওসি অলিউল্যা অলি জানান।
বিপুলের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী বকশি পাটওয়ারী বাড়ি। দু ভাই দু বোনের মধ্যে বিপুল দ্বিতীয়। তার মা জীবিত নেই। শরীফ শাহেদুল আলম বিপুলের পিতা হেমায়েত হোসেন মন্টু পাটওয়ারী সিলেট ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানায় দীর্ঘকাল চাকুরি করেন। অবসরে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সিলেটেই ছিলেন। বর্তমানে মৈশাদীতে নিজ বাড়িতে অবসর জীবন কাটাচ্ছেন। জানা যায়, বিপুলের জন্ম সিলেটেই। সেখানেই তিনি বড় হন। সিলেট এমসি সরকারি কলেজে মাস্টার্সে প্রথম পর্বে পড়াকালীন তাকে ১৯৯৯ সালে তার বাবা লিবিয়া পাঠান চাকুরি করতে। কিন্তু বিপুল লিবিয়া না গিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে অন্যত্র চলে যান। ধারণা করা হচ্ছে ওই সময় তিনি আফগানিস্তানে কিংবা অন্যত্র গিয়ে জঙ্গি ট্রেনিং গ্রহণ করেন। বিপুলের বাড়ির লোকজন জানান, বিপুল চাঁদপুরে কখনোই ছিলেন না। ছোটবেলায় বাবা মায়ের সাথে মাঝে মাঝে গ্রামের বাড়ি মৈশাদী আসতো। বড় হওয়ার পর কখনো তাকে একই গ্রামে দাদার ও নানার বাড়ি আসতে দেখেনি কেউ। বিপুলের বড় বোন বর্তমানে সপরিবারে লন্ডন প্রবাসী। ভগি্নপতি রফিকুজ্জামান হিলালী নেত্রকোনা থেকে ২০০১ সালে বিএনপির টিকেটে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আরেক বোন স্বামীর সংসারে চট্টগ্রামে আছেন। ছোট ভাই এলাকায় আছেন। প্রতিবেশিরা জানান, জঙ্গি বিপুল পরিবারের অজান্তে সিলেটে বিয়ে করেন। সে ঘরে তার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে বলে শুনেছেন। এদের সাথে বিপুলের বাবার পরিবারের কারোরই কখনো কোনো যোগাযোগ ছিলো না বলে জানা যায়।