শাহরাস্তিতে সোমবার রাতে বসতঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। তার নাম সোহাগ চন্দ্র শীল (২১)। তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্যে চাঁদপুর মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের সময় সোহাগের হাতের লেখা একটি চিরকুট পাওয়া যায়, যাতে লেখা রয়েছে “আমার মৃত্যুর জন্যে কেউ দায়ী নয়, আমি চাই স্মৃতি আবার আমাদের ঘরে আসুক, আমি স্মৃতির কোনো ক্ষতি চাইনি কিন্তু সে আমার সাথে কেনো এমন করলো জানি না। আমি আমার বাবা-মা-ভাই-বোন এবং স্মৃতির বাবা-মার কাছে ক্ষমা চাই, আমি চাই আপনারা আবার একসাথে এবং স্মৃতি ও আমার ভাই এক সাথে থাকুক।”
স্থানীয় এলাকাবাসী, পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোহাগ গত বছরের ২০ জুলাই ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাগপুর শীলবাড়ির লক্ষ্মণ চন্দ্র শীলের মেয়েকে হিন্দু ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। আবার সে বছরের ২৯ ডিসেম্বর তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হেয়ে যায়। এদিকে সোহাগ তার বড় ভাই সমির চন্দ্র শীলের স্ত্রী হাজীগঞ্জ উপজেলার সোনাইমুড়ি শীলবাড়ির হরে কৃঞ্চ চন্দ্র শীলের মেয়ে স্মৃতি রাণী শীলকে পালিয়ে গিয়ে হিন্দু ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এ নিয়ে উভয় পরিবারের মাঝে কলহ শুরু হয়। সোহাগের বাবা শংকর চন্দ্র শীল জানান, সোহাগ মৌখিকভাবে জানিয়েছে সে স্মৃতিকে মন্দিরে গিয়ে বিবাহ করেছে। তার স্ত্রী স্মৃতির কারণে আমার ছেলে আত্মহত্যা করেছে। তার শ্বশুর মোবাইলে তাকে হুমকি প্রদান করতো। এ কারণে সে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
সোমবার রাত ১০টায় শাহরাস্তি পৌর এলাকার ঘুঘুশাল শীল বাড়িতে নিজ কক্ষে ঘরের অাঁড়ার সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সোহাগ। রাতে পরিবারের সদস্যরা তাকে ডাকতে গেলে রুমের ভেতর থেকে কোনো সাড়া শব্দ পায় নি। এক পর্যায়ে সোহাগের বাবা শংকর চন্দ্র শীল টর্চলাইট দিয়ে দেখতে পান ছেলে ঘরের অাঁড়ার সঙ্গে ঝুলে আছেন। ঘটনা থানাকে জানানো হলে পুুলিশ গিয়ে রাতে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসে।