শওকত আলী ॥ হাজীগঞ্জ বাজারের হোমিও চিকিৎসকের স্ত্রী মোবাশ্বেরা বেগম (৫০) কে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গত ২দিনেও পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুর মর্গে ডা: বেলায়েত হোসেন খান ময়না তদন্ত শেযে লাশ হস্তান্তর করে তার স্বামী আবুল কাশেমের কাছে। পরে মোবাশ্বেরা বেগমের লাশ সন্ধ্যায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফনকরা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হোমিও চিকিৎসক আবুল কাশেমের স্ত্রী মোবাশ্বেরা বেগমের লাশ পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়কের উত্তরে ব্রাক অফিস সংলগ্ন আবাসিক বাড়ির পাশের ডোবা থেকে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে। মোবাশ্বেরা বেগম ব্রাক অফিস সংলগ্ন আবাসিক বাড়ীর মালিক হোমিও চিকিৎসক আবুল কাশেমের স্ত্রী। তার ১ ছেলে ও ৩ কন্যা রয়েছেন। তাদের গ্রামের বাড়ীর হাজীগঞ্জের মুকিবাদে।
হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুল হক জানান, বিকাল পৌনে ৬টায় সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মোবাশ্বেরার মরদেহ উদ্ধার করেন। এ সময় ওই নারীর পিঠে, বুকে ও গাড়ে ধারালো অস্ত্রের কুপের দাগ ছিলো। তাদের ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো দেখাগেছে।
মোবাশ্বেরার স্বামী আবুল কাশেম পুলিশকে জানিয়েছেন, সকালে বাড়ী থেকে বের হয়ে হাজীগঞ্জ বাজারে তার চেম্বারে চলে যান। বিকেলে বাসায় ফিরলে তার স্ত্রীকে খুঁজে পাননি। পরে খোঁজাখুজি করে বাড়ীর পাশের ডোবাতে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। তারা স্বামী-স্ত্রী দুইজনেই এই বাসাতে থাকেন ।হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ আলম জানান, বিকেল পৌনে ৬টার দিকে নিহত মোবাশ্বেরার স্বামী আবুল কাশেম প্রথমে একজন মহিলার লাশ পড়ে আছে বলে আমাকে ফোন করে। কয়েকমিনিট পর আবার তিনিই ফোন করে জানান আমার স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে ডোবায় ফেলেগেছে। আমরা মরদেহ উদ্ধার করেছি। প্রাথমিক অবস্থায় বুঝাগেছে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ময়না তদন্তের পর হত্যার রহস্য উদঘাটন হবে। এই মুহুর্তে এর চাইতে বেশী কিছু বলা যাচ্ছে না বলে জানান ওসি।