মিজান লিটন
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধের প্রথম দিনে গতকাল রাতে হাজীগঞ্জ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে হাজীগঞ্জের টোরাগড় এলাকা যেনো যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি হয়। অবশ্য রাত সাড়ে ১১টার পর সে এলাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। সংঘর্ষে অনেকে আহত হয়, বেশ কিছু যানবাহন ভাংচুর হয় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রচুর পরিমাণ টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়তে হয়। এদিকে সংঘর্ষের সময় এক বা একাধিক জন মারা গেছে বলে গুজব রটতে থাকে। তবে এ ব্যাপারে রাতে নিশ্চিত কোনো কিছু জানা সম্ভব হয়নি।
গতকাল অবরোধের প্রথম দিন রাত ৮টা পর্যন্ত পুরো জেলাই প্রায় শান্তিপূর্ণ ছিলো। কোথাও বড় ধরনের তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে হাজীগঞ্জ টোরাগড় এলাকায় দিনভর থেমে থেমে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটেছে। সেখানে বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা কিছুক্ষণ পর পর চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে এসে যানবাহন চলাচলে বাধা দেয় এবং গাড়ি ভাংচুর করে। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ৯টার দিকে টোরাগড় এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে প্রথম সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় উভয় দলের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে সংঘর্ষ ত্রিমুখী সংঘর্ষে রূপ নেয়। এক পর্যায়ে বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ছুড়তে থাকে। জবাবে পুলিশ টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে। এভাবে প্রায় দু ঘণ্টা চলার পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঐ এলাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এদিকে সংঘর্ষের সময় এক বা একাধিক জন নিহত হয়েছে বলে গুজব রটতে থাকে। তবে এ বিষয়ে কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
রাত সোয়া ১২টায় পুলিশ সুপার মোঃ আমির জাফরের সাথে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে চাঁদপুর নিউজকে জানান, রাত সাড়ে ১১টার পর থেকে ঐ এলাকা আইনশৃৃঙ্খলা বাহিনীর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রচুর পরিমাণ টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়তে হয়েছে। রাতে সে এলাকায় অভিযান চলছে। হতাহতের ঘটনা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না এবং নিহতের খবর গুজব বলে তিনি জানান।