মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে এখানে হানাদার বাহিনী সড়ক ও রেলপথে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লার পশ্চিম অঞ্চল, নৌপথে মুন্সীগঞ্জ, শরিয়তপুর, ভোলা, বরিশাল, খুলনা অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধা, সাধারণ জনগণ ও যাত্রীদের ধরে এনে নির্মম অত্যাচার করে হত্যা করত, নারীদের ধর্ষণ করত। ধারণা করা হয়, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ধরে আনা প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষকে এখানে হত্যা করে মেঘনা নদী মোহনায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। চাঁদপুরের ডাকাতিয়া ও মেঘনা নদীর মিলনস্থলে ঘূর্ণির গভীরতা প্রায় নয়শত ফুট। পাথর বেঁধে মৃত দেহগুলো ফেলে দিলে তা মুহূর্তেই ২০-২৫ মাইল দূরে চলে যায়। মানুষের রক্তস্রোতে মেঘনা-ডাকাতিয়ার স্রোতে মিলিত হয়ে সৃষ্টি হয় ‘রক্তধারা’।
মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মাহুতি দেয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নির্যাতিত নারী-পুরুষের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থেকেই তৈরী হয়েছে রক্তধারা স্মৃতিস্তম্ভ ।
শিরোনাম:
বুধবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৭ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।