সাখাওয়াত হোসেন মিথুনঃ
প্রবাদ আছে ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ কিন্তু আজ আর এ প্রবাদের বাস্তবতা নেই বললেই চলে। কারণ হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী দেশীয় প্রজাতির নানা মাছ। দেশীয় ছোট মাছ পুষ্টিকর ও সুস্বাদুর জন্য সকলের কাছে প্রিয়। কিন্তু গ্রামের মানুষ দেশীয় মাছের স্বাদ ভুলে যেতে বসেছে। এক সময় নদী-নালা-খাল-বিল নানা প্রজাতির মাছে পরিপূর্ণ থাকলে কালের পরিক্রমায় এখন নেই বললেই চলে। বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে প্রায় দেশীয় প্রজাতির মাছ। তার সাথে হারিয়ে যাচ্ছে ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ প্রবাদ কথাটিও। হাজীগঞ্জে ডাকাতিয়া নদী, বিল, দাসবাড়ি বড়বিল, সুদিয়া বিল, মাতৈন বিল, বজরিয়া খাল সহ নদী-নালা-খাল এখন আর পাওয়া যায় নানা প্রজাতির ছোট মাছ। শিল্প কারখানার বর্জ্য পদার্থে নদী-খাল-বিলে পানি দূষিত হচ্ছে। ফলে মাছের বিচরণ ক্ষেত্রও ধ্বংসের মুখে। খাল-বিলের মাছ খাবার অযোগ্য হয়ে পড়ছে। ইতোমধ্যে দেশীয় প্রজাতির ছোট-বড় অনেক মাছের বিলুপ্তি ঘটেছে। ঢেলা, আইড়, চান্দা, টেপা, মাগুর, কৈ, বাইম, চিংড়ি, টেংরা, বোয়াল, ভেড়া, ফলি, গোলসা, গজার, টাটকিনি, খলিশা, বেতরশি, বেলেসহ ইত্যাদি মাছ আর চোখে পড়ে না। হাজীগঞ্জ উপজেলার আশপাশের কয়েকটি গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ জানায়, এক সময়ের ডাকতিয়া নদিতে মাছের জন্য দেশে খ্যাতি অর্জন করলেও সময়ের ব্যবধানে এবং শিল্পের বর্জ্য পদার্থে পানি দূষিত হয়ে মাছের আবাসস্থল নষ্ট হচ্ছে।
অন্যদিকে অতিরিক্ত সার ও কীটনাশক ব্যবহার বিলের মাছ বিলুপ্তির অন্যতম কারণ। আগে যারা এ মাছ ধরার উপর নির্ভও করে জীবিকা নির্বাহ করত, এখন অনেকেই এই পেশা ছেড়ে বিকল্প পেশায় যোগ দিয়েছে। আমিষের চাহিদা মেটানের জন্য পুকুরে রুই, কাতল, নলা, কার্প জাতীয় মাছসহ যাবতীয় মাছের চাষাবাদ চলছে।
শিরোনাম:
বুধবার , ৫ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২১ কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।
