এম.এইচ.মাহিনঃ
জাতিকে মাথা তুলে দাঁড়াতে এবং মেধা বিকাশে গ্রন্হাগারের অবদান অপরিসীম। আমি যদি আমার কথা বলি, মা-বাবা হারানোর পর ভাবছিলাম আর কোনদিন হয়ত যাওয়া হবে না বিশ্ববিদ্যালয়ের বারান্দায়। কারণ হঠাৎ করে দেখা দু:খ । ভাবার বিষয়, কি করে দু:খ কাটিয়ে উঠা যায়, হতাশার কিছু নেই, পরিস্থিতিই বলে দেয় কখন কি করতে হবে ।
হঠাৎ করে এক আত্নীয়ের হাত ধরে ঢাকায় আসি এবং বেসরকারী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পাই লাইব্রেরীতে। মাথা গোঁজার ঠাঁইতো হল, এবার চিন্তা কিভাবে লেখা-পড়া করা যায়। আমাকে যার অধীনে দেওয়া হল তিনিও আমাকে সার্পোট করলেন লেখা-পড়ার করার জন্য।বর্তমানে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম.এ পড়ছি। নিয়মিত চোখ রাখি নিউজের উপর। ১২আগস্ট রোজ সোমবার বাংলানিউজের এক সাক্ষাৎকারে শেখ-রেহানা ১৫আগস্ট চেনা মানুষগুলোকে রাতারাতি বদলে দিয়েছিল নামক একটি প্রতিবেদনে নিজের এবং বাবা-মা হারানোর কস্ট তুলে ধরেন।
শেখ-রেহানা বলেন ভারতে আমি যখন লেখা- পড়া করি তখন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলাম, জীবনের নিরাপত্তার জন্য চলে যাই লন্ডনে, লন্ডনের রাস্তায় অনেক পরিচিত মুখ দেখি কেউ ফিরে চায় না। অর্থের বড়ই সংকট , বেঁচে থাকতে হবে তাই প্রয়োজন তাগিদে একটা কর্মের দরকার। ভাগ্যক্রমে জুটে যায় লন্ডনের একটি লাইব্রেরীতে মানব সেবার চাকুরী।
তাই আজ আমি বলতে বাধ্য, যেখানে আমাদের মতো অসহায় মানুষের পেছনে গ্রন্হাগার অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আর সেই গ্রন্হাগারই আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। তাই সবিনয় অনুরোধ , সরকার পর্যায় থেকে শুরু করে আমাদের দেশের বিত্তবানদের প্রতি আসুন বাংলাদেশের অবহেলিত গ্রন্হাগারগুলোর প্রতি নজর দেই এবং জাতির মেধা বিকাশে দৃস্টি রাখি।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ২০ জুন, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৬ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।