মুহাম্মদ আবুল কালাম (কালু):
রাজ পথ কলঙ্ক। গনতন্ত্রের নামে হচ্ছে দেশ ষড়যন্ত্র। ক্ষমতা দখল আর সেবা দেওয়ার প্রচারে হচ্ছে জাতির ধ্বংসের লক্ষ্য। ধনবান ব্যক্তিদের ভিড়ে জনগন দিশেহারা। সবাই জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে লিপ্ত, শুধু সাধারনের অসাধারন পরিবর্তন। কিংবা জামায়াত-শিবির, বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, আর কি বা আওয়ামীলিগ যুবলীগ সবার লক্ষ্য দেশের উন্নতি আর বাকি দল গুলোর উকি শুধু সুনাম বা রাজ পথের আন্দোলনে চোরের মত ছোটাচুটি। গনতন্ত্রের জোয়ারে জনতার ক্ষুধা নিবারনের পরিবর্তে আজ অন্ন পিপাসুতে পরিণত হচ্ছে। একে অপরের অন্যায়ের প্রতিবাদ আর উন্নতির লক্ষ্যে হানাহানিতে যুক্ত হয়ে মুক্ত জাতিকে আজ ধংসের দিকে ঠেলে দিয়েছ। বুঝা মুশকিল এক দল অন্য দলের সাথে আন্দোলন না দেশে ও দেশের ক্ষুদার্থ জাতি বিরোধী আন্দোলন। আজ বাংলাদেশের মানুষ রয়েছে উল্লাসের বিপরীত হতাশার মাঝে। ইতি মধ্যে এ বিজয়ের মাসে অনেক পরিবারের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। নিঃশংস ভাবে জীবন দিতে হয়েছে কয়েক জনকে। বর্বরোচিত হামলায় কেড়ে নিয়েছে কয়েকটি জীবন। মৃত্যুর ভয়াভহ দৃশ্য এমন হবে জানলে হয়তো বিদায় নেওয়া ওই সব ব্যক্তিরা এমন কূৎসিত গণতন্ত্রের জালে পা দিতো না। এর মাঝে যখন প্রিন্টিং মিডিয়াতে যুবক বিশ্বজিতের রক্তমাখা দেহ দেখি তখনি বুকটা ঝাঝরা হয়ে যায়। নিস্তব্দ হয়ে যায় শরীর। নিজেকেও খুব অসহায় মনে হয়। মাঝে মধ্যে ভাবি স্বাধীনদেশে নেই এক যুবকের স্বাধীনতা আজকের এই সব ভয়া বহ ঘটার দিকে নজর পরলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার ছাড়া দেখা যায় না।আফসোস হাত, পা, চোখ, মুখ, থাকা সত্বেও এসব নেক্কার ঘটনা প্রতিবাদ করতে আমরা সাধারণ জনগন করতে পারি না। তাই কখনো কখনো মনে হয়, ১৬ কোটি জনতার মাঝে আমিই মদন। ভাবতেও অবাক লাগে এই অবস্থানের জন্যেই কি ১৯৭১ সালে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। আজকের এই অবস্থানের জন্যেই কী ৩০ লক্ষ তাজা প্রাণ পাক হানাদার দের বুলেটের খোরাক হয়ে বিদায় নিয়েছিল। এই গনতন্ত্রের জন্যেই কী স্বরযন্ত্রের জাল ভেঙ্গে এদেশ স্বাধীন করেছিল। আর বিজয়ের মাসে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এমন কুৎসিত আকার ধারণ করবে। কেউ কি তখন চিন্ত্মা করেছিল। আমারতো মনে হয় সর্বকালের সর্ব চেষ্ট বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানও ভাবেননী রাজনীতি এমন রূপধারন করবে। নামে জাতি আর দেশ রক্ষার জন্যে চলছে ভক্ষকদের কুচিন্তা বাস্তব করার কাজ। লজ্জাহীন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কর্ম আজ জনগনের জীবনকে মৃত্যুর দুয়ারে ঢেলে দিয়েছে। এর শেষ কোথায় হবে শুধু রাজনৈতিক ব্যক্তিরাই জানেন। তবে জামায়াত-শিবির, বিএনপির কার্যকলাপ আর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নাম দিয়ে যারা সন্ত্রাসী করছে তাদের জেনে রাখা উচিৎ, এভাবে চলতে থাকলে দেশের নিরীহ জনগন ফুসে উঠবে। প্রত্যেক ঘরে ঘরে একাত্তুরের ন্যায় বাংলার বীর সন্তানরা ঐক্য গড়ে আজকের সন্ত্রাস নামের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিতারিত করবে। তাই দলগুলোকে এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখা উচিৎ এবং তার স্বাথে গনতন্ত্রের যে, কর্ম, চর্চা, নিয়ম সে ধারাই দেশ পরিচালনা করার চিন্তা। দলগুলো বুঝা উচিৎ ১৯৭১ সালের ভয়াবহ এক একটি দিনে পাকহানাদার দের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিয়ে এদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। সে হিসেবে আজকের বিরাজমান সংকট ১৯৭১ সালে চেয়ে বড় নয়। এদেশের জনগন যেদিন এই কুৎসিত নোংরা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবে। সেদিন থেকে জামায়াত-শিবির, বিএনপি-যুবদল, ছাত্রদল এবং আওয়ামীলীগ অংঙ্গ সংগঠন, যুবলীগ-ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে যারা সন্ত্রাসী কাদায় রাজনীতি ও দেশকে অপমানিত করছে। গনতন্ত্রকে নিয়ে স্বরযন্ত্র করছে দেশের সুখ-শান্ত্মিকে বিস্বর্জন দিচ্ছে। বিশ্ব দরবারে স্বাধীন বাংলাদেশকে কলংকিত করছে। বাংলার জনগনের কাছে তাদের কপিয়ত দিতে হবে। হরতাল ভাংচুর, ইট, ফাটকেল, চোরা-চুরি, পশুর মত মানুষ হত্যা, কর্তাদের এসব দেখতে দেখতে দেশের জনগন দিশে হারা। এমন যদি চলতে থাকে জনগন এর বিরুদ্ধে রুখে দারানো ছাড়া উপায় নেই। কারণ আজ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, ১৮ দল এবং ১৪ দলের সকল হর্তাকর্তাদের যদি একত্রিত করা হয় তখন হিসাব করলে দেখা যাবে। সচেতন মহলই সব। সে হিসাবে জনগনের মাঝে দেশ থাকার কথা ছিল পাখির বাসার মতো। যার কোন আপদ, নেই কোলাহল,সুখের রাজ্যে রাজা শুধু সেই। অথচ তা না হয়ে নরগের আস্ত্মানা হয়েছে। খুনের প্রতিযোগীতায় ধান্দাদের গোলাগুলিতে স্বর্ব হারা হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ। এমন সব কর্ম কান্ড যদি ঠিকেই চলতে থাকে, এদেশের জনগন ধৈর্য্যের বাধ ভেঙ্গে রাজপথে নাম্বেই। আর যে দিন নাম্বে সেই দিন হয়তো অসংখ্য নিরীহ জনগনের ও রাজনৈতিক জঘন্য ব্যক্তিদের রক্ত ঝরবে। তাই এমনটি না ঘটতে জাতিকে সুন্দর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার চেষ্টা করুন।
abulkalamp@gmail.com
01811-175652