চাঁদপুর শহরের খলিসাডুলী গ্রামের মঠখোলায় বেদখলকৃত সম্পত্তি দখল নিয়ে প্রায় ৩০ বছর পর সম্পত্তি জটিলতা অবসান হয়েছে। গত রবিবার বিকেলে মঠখোলা বাদশা এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারী বাদশা গাজীর পৈত্রিক সম্পত্তি শালীশি বৈঠকের মাধ্যমে বিবাদীর অঙ্গীকার নিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে বুঝিয়ে দেয়। জানা যায়, ২৯নং খলিসাডুলী মৌজার সিএস ৩৫৪ দাগ ৩৪৭ বিএস খতিয়ানের ২৬৯ দাগের ৩৭ শতাংশ সম্পত্তি নিয়ে বাদশা গাজী ও দুদু গাজীর মাঝে দখল নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। দুদু গাজী মারা যাওয়ার পর তার ছেলে জসিম গাজী পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগভাটোয়ারা না করে দিয়ে তার চাচা দুদু গাজীর ছেলে খোকন গাজীর সাথে দীর্ঘদিন যাবত দখল নিয়ে জোট ঝামেলা করে আসছিল। দীর্ঘ ৩০ বছর পর বেশ কয়েকবার শালিশী বৈঠক শেষে বাদশা গাজীর ছেলে খোকন গাজীকে তাদের পাওনাকৃত সাড়ে ১৮ শতাংশ সম্পত্তির মধ্যে ১০ শতাংশ সম্পত্তি বিবাদীদের উপস্থিতিতে তাদের অঙ্গীকারনামা রেখে বুঝিয়ে দেয়। রবিবার বিকেলে খলিসাডুলী এলাকার শালিশী হারুন হাওলাদার, কাজী মোস্তফা, বাচ্চু গাজী, কুদ্দুছ খান, জয়নাল আবেদীন উভয়পক্ষকে নিয়ে সবার সম্মত্রিক্রমে বেদখলকৃত সম্পত্তি বাদশা গাজীর ছেলে খোকন গাজীকে সীমানার নির্ধারণ করে বুঝিয়ে দেয়। খোকন গাজীর চাচাতো ভাই জসিম গাজী শালীশিদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে ৩০ বছরের জটিলতার ইতি টেনে তার চাচার সম্পত্তি দখল দেয়। উল্লেখ্য মঠখোলা খলিসাডুলী গ্রামের এই সম্পত্তি নিয়ে চাচাতো ভাই ও জেঠাতো ভাইদের মধ্যে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়েছে। অবশেষে সকল জটিলতার অবশান ঘটিয়ে উভয় জায়গা শালিশীগণরা বুঝিয়ে দেওয়ায় দুপরিবারের মাঝে শান্তি ফিরে এসেছে।