চাঁদপুর রহমতপুর কলোনী বাসা থেকে ডেকে নিয়ে জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের এক সক্রিয় কর্মী তিন সন্তানের জননী কোহিনুর বেগমকে ভূঁইয়া বাড়িতে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে।। স্থানীয়রা জানায়, ভূঁইয়া বাড়ির নয়ন বেগমের একতলা পাকা ভবনের একটি ফ্ল্যাটে গলা কেটে গুরুতর আহত করা হয় কোহিনুরকে। মৃত্যু নিশ্চিত হলে লাশ উপর করে ঘরের উত্তর পশ্চিম কোনের কক্ষের খাটের নিচে ফেলে রাখা হয়। এসময় তার মুখে চাদর মুড়িয়ে রাখা হয়। ভূঁইয়া বাড়ীর নয়ন মহিলা কোহিনুরকে রহমতপুর কলোনী ৯০নং বাসা থেকে সন্ধ্যার পর ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে থাকা আরো কয়েকজনের সহযোগিতায় কোহিনুর হত্যা করে তারা পালিয়ে যায় বলে এলাকাবাসী জানান। ধারণা করা হচ্ছে নয়ন কর্তৃক পরিচালিত মহিলাদের একটি সমিতিতে গচ্ছিত রাখা টাকা কোহিনুর কয়েকদিন যাবত চেয়ে আসছে। কিন্তু টাকা দিচ্ছে না বলে জানা যায়। কোহিনুরের স্বামী আঃ মান্নান খান ৩ দিন আগে সৌদি আরব থেকে আসেন। যার জন্য টাকার খুব প্রয়োজন হওয়ায় নয়নকে টাকার তাগিদ দেওয়া হয় বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়। এতেই নয়ন বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে কোহিনুর বেগমকে তার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে নয়নের বাসায় জবাই করে হত্যা হত্যা করে তার ভাই আঃ রাজ্জাকসহ অন্যান্যদের সহযোগিদের নিয়ে।
ঘটনার পর শত শত এলাকাবাসী জড়ো হয়। তবে আতংকে কেউ মুখ খুলতে রাজি হয়নি। এ ঘটনা জানাজানি হলে রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আশ্রাফুজ্জামান ঘটনাস্থলে যান। এছাড়া চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং নয়ন বেগমের বড় মেয়ে তিশাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
জানা যায়, প্রতিদিনের মত কোহিনুর বেগম তার সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে বাসায় সময় কাটাচ্ছিল। হঠাৎ নয়ন বেগম এসে কোহিনুর বেগমকে ডেকে নিয়ে যায়। রাত ৮টার দিকে খবর পাওয়া যায় কোহিনুর বেগমকে হত্যা করা হয়েছে। তার লাশ নয়ন বেগম এর বাসার খাটের নিচে পড়ে আছে। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার থানায় নিয়ে যায়। নিহত কোহিনুর বেগমের স্বামী দীর্ঘবছর যাবত সৌদি আরব থাকেন। তিনি গত ৩দিন পূর্বে দেশে এসেছে । এলাকার লোকজন জানান, নয়ন বেগমের দু’টি বিয়ে হয়েছে। প্রথম স্বামী ছেড়ে দেওয়ার পর পুনরায় অন্য একজনের সাথে বিয়ে বসে। সে স্বামীও বর্তমানে নেই। তার দু’টি মেয়ে রয়েছে। নয়ন বেগমের পিতার নাম মৃত মোঃ আলী ঢালী। সে দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় সমিতি গঠন করে মহিলাদের মাঝে সুদের ব্যবসা করে আসছে এবং এর মাধ্যমে মহিলাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতো। বর্তমানে দু’সন্তান ছাড়া নয়ন বেগম, তার ভাই আঃ রাজ্জাকসহ পরিবারের সবাই পলাতক। আয়েশা রহমান লিলি জানান, নয়ন বেগম একজন সন্ত্রাসী মহিলা। কোহিনুর বেগম জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের একজন সক্রিয় কর্মী।