মোঃ জামাল হোসেনঃ শাহ্রাস্তি উপজেলার সুচিপাড়া (উঃ) ইউনিয়নের অবহেলিত এক জনপদ শোরসাক উত্তর পাড়া। অতিবৃষ্টি ও বন্যায় ধেয়ে আসা পানি স্থায়ী হয়ে পড়ায় আর পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ওই এলাকার ২ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বর্তমান ২ শতাধিক পরিবারের প্রায় সহ¯্রাধিক লোক মানবেতর জীবন যাপন করছে। সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, শাহরাস্তি-পানিওয়ালা সড়কের পশ্চিম পাশে ওই পাড়ার একমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নুরানি মাদ্রাসা, বড় রাউত বাড়ি, ছোট রাউত বাড়ি, ছায়েদ আলী বেপারী বাড়ি, আইল্লার বাড়ি এবং সড়কের পূর্ব পাশে তফদার বাড়ি, পরান বাড়ি, শোরসাক বাড়ি, মিজি বাড়ি, ফরাজী বাড়ি, রাঢ়ী বাড়ি, বাঞ্জির বাড়ির লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছে। কাঁচা ও ইটার সলিং অধিকাংশ রাস্তা পানিতে তলিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ দুলাল আহম্মদ, মোরশেদ আলম, বকুল মিয়া, মোঃ ইউছুফ জানান, পানি নিস্কাশনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা পদক্ষেপ না নেয়ায় সড়কের পশ্চিম পাশে অবস্থিত শোরসাক উত্তর পাড়ার প্রায় দেড় শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। একই এলাকার বাসিন্দা মোঃ দেলোয়ার হোসেন ও নেছার আহম্মদ রাজু ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিনিধিকে জানান, শোরসাক উত্তর পাড়ার বিশাল জনগোষ্ঠী সবসময়ে অবহেলিত। সরকারি বরাদ্ধ পেলেও সুষ্ঠু তদারকির অভাবে তা বেস্তে যাচ্ছে। পানি নিস্কাশন না থাকায় এ এলাকার অধিকাংশ বাড়ির রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। শোরসাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে হাটু পানি। ৬ আগষ্ট রবিবার থেকে ২য় সাময়িক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা ঝুঁকির মধ্য দিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করছে। নুরানী মাদ্রাসার আশেপাশে পানি থৈ-থৈ করছে। ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় দেড় শতাধিক পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ৮নং ওয়ার্ড সদস্যর মধ্যে সমন্বয়হীতার কারণে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থায় ভাটা দেখা দিয়েছে। চেয়ারম্যান এলাকার ভুক্তভোগিদেরকে ওয়ার্ড সদস্যর সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলেন। পানি নিস্কাশনের জন্য ইউনিয়নের বরাদ্দ তহবিল হতে একটা বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই বরাদ্দের অর্থ গোপন রাখায় স্থানীয় লোকজনের মাঝে বিভিন্ন সন্দেহ দেখা দেয়। প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দকৃত অর্থ লাপাত্তা হওয়ার পথে বলে এলাকাবাসী সন্দেহ করছে। দ্রুত পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা না করা হলে ওই এলাকায় মানবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে।
ওয়ার্ড সদস্য মোঃ হাতেম আলীর সাথে তার মুঠোফোনের (০৭১১৫৬৮০৫৬৯) কথা হরে তিনি জানান, পানি নিষ্কাকনে ব্যবস্থার প্রক্রিয়া রয়েছে। কিছু লোক তাদের জায়গা না দিয়ে নিষ্কাকনে ব্যবস্থা করতে না দেয়ায় কাজে ব্যঘাত সৃষ্টি হওয়ায় তা করতে বিলম্ব হচ্ছে। সংরক্ষিত সদস্য নুরজাহান বেগম জানান, সড়কের পশ্চিম পাশ ও ও পূর্ব পাশের কয়েটি বাড়ির লোকজন পানি বন্দি হয়ে রয়েছে বলে স্বিকার করেন। তবে আমি চেয়াম্যান ও সাধারন সদস্য কে অবহিত করেও কোনো লাভ হতো না। তারা আমার কথা শোনেনা।তাদের ইচ্ছা অনুযায়ি কাজ হয়।
অপর দিকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাফা কামাল মজুমদার কে তার মুঠোফোনে (০১৯২৩-১০৮১৮৪) কয়েক বার কল করলেও তিনি না ধরায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।