ইমতিয়াজ শাহরুখ কোরাইশী, শাহ্রাস্তি :
শাহরাস্ত্মিতে আশংকা জনক হারে বাল্য বিয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার অনেক আগেই শিশু ও কিশোরীদের বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন প্রসবকালীন মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। অন্যদিকে তা সামাজিক অস্থিরতার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের ওয়ার্ল্ড’স চিলড্রেন রির্পোট ২০০৯ বলা হয়েছে। বাংলাদেশে ৬৪ শতাংশের বেশি কিশোরী হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তারা গর্ভধারনের যৌক্তিক বয়সের আগেই অন্ত্মঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। যদি ও বাংলাদেশে ছেলে ও মেয়ের বিয়ের পিড়িতে বসার সর্বনিম্ন বয়স সরকার মেয়ে ১৮ বছর,ছেলে ২১ বছর নির্ধারণ করে দিয়েছে কিন্তু শাহরাস্ত্মিতে অধিকাংশ অভিভাবকই এই নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা করছেন না। বর্তমানে বাংলাদেশের ১৫ থেকে ১৯ বছির বয়সী মেয়েদের এক-তৃতীয়াংশ ইতিমধ্যে মা হয়েছে বা অন্ত্মসত্ত্বা অবস্থায় আছে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপযুক্ত বয়সে একজন মায়ের যে পরিমান প্রসবকালীন জটিলতার ঝুঁকি থাকে। কিশোরী মায়ের সে ক্ষেত্রে দ্বিগুন ঝুঁকি হয়ে দাড়ায়। গর্ভ ও প্রসবজনিত জটিলতার বাংলাদেশে যে পরিমান প্রাপ্ত বয়স্ক মায়ের মৃত্যু হয়। তার দ্বিগুন মৃত্যু ঘটে কিশোরী মায়েদের বেলায়। বিশেষ করে ১৪ বছরের কম বয়সে অন্ত্মঃসত্ত্বা হওয়া প্রসবকালীন মৃত্যুর ঝুঁকি সবচেয়ে বেশী থাকে। গবেষনায় দেখা গেছে, ২০-২৪ বছরের অন্ত্মঃসত্ত্বা মায়েদের যে মাত্রায় প্রসবজনিত জটিলতার ঝুঁকি থাকে, তার চেয়ে ৫ গুন বেশী ঝুঁকি থাকে ১০-১৪ বছরের মেয়েদের বেলায়, অন্যদিকে ২০ বছর বা তার চেয়ে বেশী বয়সী মায়েদের শিশু সন্ত্মাদের যে পরিমান মৃত্যুঝুঁকি থাকে। তার চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশী থাকে সেই শিশুদের ক্ষেত্রে, যাদের মায়েদের বয়স ১৪ বছরের কম। বাল্য বিয়ের কারনে কিশোরী মা ও সদ্যজাত শিশুদের মৃত্যুহার বেড়েই চলছে। যদি ও বিয়ের বৈধ বয়সসীমা আছে তা মানা হচ্ছে না। বয়স বেশী হলে বেশী অংকের টাকা যৌতুক গুনতে হতে পারে। এমন আশংকায় দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত বাবা-মায়েরা তাদের মেয়েকে কিশোরী অবস্থাতেই বিয়ে দিয়ে দেন। অশিক্ষিত ও দরিদ্র তারা সহজ উপায়ে হিসেবে মেয়েকে অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেন। অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ার কারণে মেয়েরা পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। এছাড়া প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান না থাকায় বিবাহিত কিশোরীরা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি মানসিক সমস্যার কবলে পড়ছে।আবার দরিদ্র পরিবারের পিতা মাতারা তাদের ছেলেকে দৈহিক গঠন ভালো দেখলে যৌতুক পাওয়ার আশায় বিয়ে করিয়ে দেন ফলে তারা অপরিণত বয়সে বিয়ে করে একদিকে অধিক সন্ত্মান জম্ম দেয় অন্যদিকে দিন রাত সবসময় দাস্পত্য কলহে ভুগতে থাকে। ফলে সমাজ ও জাতীয়ে জীবনে অশান্ত্মি নেবে আসে। তাই সচেতন মহল মনে করছেন অনতি বিলম্বে সরকার শাহরাস্ত্মি সহ দেশের সর্বত্র এই বাল্যবিয়ে বন্ধে জোরালো ভুমিকা রাখবে।
চাঁদপুর নিউজ সংবাদ