সাখাওয়াত হোসেন মিথুনঃ
সরকারি হাসপাতাল খালি নামের, কাজের নয়। কর্তৃপক্ষের উদাসিনতা ও অব্যবস্থাপনার মধ্যে দিয়ে চলছে সদ্য হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্রে কার্যক্রম। ওষুধ সংকট, ডাক্তার স্বল্পতা, বিকল এঙ্-রে মেশিন ও অ্যাম্বুলেন্সসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত এ স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্। ফলে এলাকার হাজার হাজার মানুষ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট কমপ্লেঙ্টি উপজেলা রোগী বাড়লেও শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়নি। এস্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েমোট চিকিৎসকের পদ ৯টি থাকলেও বর্তমানে আছেন উপজেলা স্বাস্থ্য পঃ পঃ কর্মকর্তাসহ ৪জন।। হাসপাতালে নৈশ প্রহরী না থাকায় ১জন সুইপার হাসপাতালে নৈশ প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছেন। গত বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গেলে, স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্রে গেটেই দেয়া যায় গরু ছাগল শুয়ে আছে। কমপ্লেঙ্রে চত্বর গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্রে বাতাসে ভাসছে উৎকট গন্ধ। এসব পিছনে ফেলে পুরুষ ওয়ার্ডে ঢোকার আগেই চোখে পড়ে আরাম আয়েস করে শুইয়ে আছে দু’টি কুকুর। পুরুষ ওয়াডের এক রোগীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এখানকার খাবার না খাওয়ায় ভালো, এত নিম্নমানের যে তা মুখে দেয়াই মুশকিল। রাজারগাঁও ইউনিয়নের মেনাপুর গ্রামের দিপু বলেন, খালি তিনটি প্যারাসিটামল আর দুইটি ক্যাপসুল পানু। ৯নং গন্ধব্যপুর ইউনিয়নের আকলিমা বেগম (৩৫) বলেন, ওষুধ নিবার জন্য বাড়ির কাজ ফ্যালেয়া সকালে হাসপাতালোত ওষুধ নিবার আইনো। টিকিট নিয়া বসি আছি কিন্তু ডাক্তার বেলে অনো আইয়ে নাই। আর (স্বামী) তো বাড়ি গেইলে রাগ কইরব। এমনি তো দেরি হইল ওষুধ না নিলে গালাগলি আরো কইরবো। দেখি কখন ডাক্তার আসি ওষুধ দেয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা বলেন, কমপ্লেঙ্টি হাইওয়ে রাস্তার পাশে হওয়ায় প্রায় প্রতিদিনেই প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীসহ দুর্ঘটনার রোগী এ হাসপাতালে আসে চিকিৎসা সেবা পেতে। কিন্তু হাসপাতালে কোন বিশেজ্ঞ ডাক্তার নেই। অ্যাম্বুলেন্সটি চলাচলের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। আমি আসার আগে থেকে অর্থাৎ ৯ মাস থেকে এঙ্-রে মেশিন বিকল হয়ে পড়ে আছে। এ কমপ্লেঙ্ ২৪ঘন্টা জনগণের সেবা দিতে হলে জরুরি বিভাগে একজন ডাক্তার থাকা জরুরি কিন্তু এখানে নেই। ডাক্তাদের জন্য যে কোয়াটার রয়েছে এগুলোর ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। এজন্য বসবাস অযোগ্য। তবুও নানা সমস্যার মধ্যেও মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে আমি সাধ্য মতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, শুধু এই হাসপাতালে হাজীগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়নগুলো মানুষের জন্য ওষুধ বরাদ্দ পেলেও এই হাসপাতালে পার্শ্ববর্তী উপজেলার রোগীরাও চিকিৎসা নেয়, ফলে ওষুধের সংকট দেয়া দেয়।
চাঁদপুর নিউজ সংবাদ