চাঁদপুর: চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এই বিভাগে থাকা সেবক ও ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারীরা নিজেরাই যেন মেডিসিন ও সার্জারি ডাক্তার হয়ে গেছে। বিভিন্ন কাটাছেরা ও দূর্ঘটনায় আহত রোগী আসলে তারা ডাক্তার না ডেকে নিজেরাই সেবা দিচ্ছে। এতে করে ওই সব রোগীরা আরো বেশী অসুস্থ হয়ে পড়ে এমনকি তাদের মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে থাকে।
সরেজমিন দেখা যায় , জরুরি বিভাগে তেমন একটা রোগী না থাকলেও সেবক আজাদ ও ৩য় শ্রেনীর কর্মচারী মোস্তফা জরুরি বিভাগের পশ্চিম পাশের কক্ষে সার্জারী ডাক্তারের অনুপস্থিতি ও ডাক্তারের পরামশ্য না নেয়া এক শিশুকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মুসলমানি করাচ্ছে । এ মুসলমানিটি করার নিয়ম হচ্ছে ওটির মাধ্যমে এমনকি অচেতন করে তা করানোর কথা রয়েছে । কিন্ত্র এ ধরনের কিছু অসদ উপায়ে অর্থ উপার্জনকারী সেবকরা নিজেরাই সার্জারী ডাক্তার সেজে প্রকৃত ডাক্তারের নির্দেশ না পেয়ে এ ধরনের অপারেশন করিয়ে থাকে । তাছাড়া জরুরি বিভাগে সরকারী নিতীমালায় টিকেটের মুল্য ৪ টাকা ৪০ পয়সা । ভর্তি ফি ৫ টাকা । কিন্তু এ বিভাগে এসে মুমূর্ষ রোগী ভর্তি করানো হলে এ সব সেবকরা ২০ থেকে ৫০ টাকা করে নিয়ে থাকে । আবার অনেক সময় দেখা যায় সেবকরা নিজেরা টেবিল চেয়ারে বসে থেকে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনীর কমচারী দিয়ে কাটাছেরা রোগীদের ওয়াস থেকে সেলাই পর্যন্ত করিয়ে থাকে। তার বিনিময়ে রোগীর অভিবাকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে থাকে। ডাক্তার না দেখিয়ে সেবকরা নিজেরাই সরকারী টিকেটে রোগীর ব্যবস্থাপত্র লিখে দেয়।
চাঁদপুর সরকারী জেনারেলর হাসপাতালের যে কয়েকজন সেবক রয়েছে তারা নিজেরা হাসপাতাল সংলগ্ন বিভিন্ন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের সাথে শেয়ার হোল্ডারের ম্ধ্যামে পার্টনার হিসেবে জড়িত রয়েছে। যখন যেই সেবক জরুরী বিভাগের দায়িত্ব পালন করে তখন সেই সেবক ভাঙ্গা মচকা রোগী আসলে তারা তাদের ব্যাক্তিগত ডায়াগনষ্টিক গুলোতে পরিক্ষা নিরিক্ষা ও এক্স-রে করানোর জন্য পাঠিয়ে দেয় । রাতে গিয়ে তারা ওই সব ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে গিয়ে তাদের কমিশন সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তাছারা হাসপাতালে ভর্তি রোগীর দেয়া টাকা নিজেরা খরচ করে অনেক সময় দেখা যায় ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসার রেজিষ্ট্রি খাতায় ওই রোগীর নামের পাশে ফি লেখা সীল মেরে রাখা হয় । এ ভাবেই সেবকরা সরকারী খাতের টাকা খরচ করে ফেলছে । এই যদি হয় চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্মরত সেবক ও ৩য়, ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারীদের অবস্থা তাহলে দুরদূরান্ত থেকে আসা রোগীদের সেবার মান কেমন হবে ?