হাজীগঞ্জের গোঘরায় দেবর ভাসুর ননদ জায়ের নির্মম নির্যাতনের শিকার প্রবাসীর স্ত্রী ২ সন্তানের জননী গৃহবধূ কুলসুমা বেগম। দেবর বাশুররা নির্যাতন করে ১ সপ্তাহ যাবৎ আটকে রাখার পর হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের মাধ্যমে কুলসুমা বেগমকে উদ্বার করা হয়। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নির্যাতনের শিকার কুলসুমা বেগম জানান, হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও গ্রামের অজি বাড়ির মোঃ মানিক মোল্লার মেয়ে মোসাম্মদ কুলসুমা বেগমের সাথে ১২ বছর পূর্বে উভয় পরিবারের সম্মতিতে শরীআহ মোতাবেক বিবাহ হয় একই উপজেলার গোঘরা গ্রামের বেপারী বাড়ির ফাজিল উদ্দিনের বেপারীর ছেলে আব্দুল কাদির বেপারীর সাথে। দাম্পত্য জীবনে তাদের দু’টি ফুটফুটে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর মেয়ের জামাতা আব্দুল কাদের বেকার থাকায় শ্বশুর মানিক মোল্লা মেয়ের সুখ শান্তির কথা চিন্তা করে টাকা পয়সা খরচ করে জামাইকে বিদেশে পাঠান এবং মেয়েকে বসবাসের জন্য ৪ রুমের একটি সেমি পাকা ঘর করে দেন। দীর্ঘ কয়েক বছর তাদের সংসার জীবন সুখ শান্তিতে কাটলেও গত কয়েক বছর যাবৎ স্বামী আব্দুল কাদেরের ইন্দনে ভাসুর হান্নান, সেলিম, দেবর মুরাদ, মাইনুদ্দিন, ননশ রাবেয়া ও হান্নানের স্ত্রী কুলসুমার উপর বিভিন্ন অজুহাতে নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। সংসারের সুখ-শান্তির কথা চিন্তা করে গৃহবধূ কুলসুমা বেগম নির্যাতনের বিষয়টি নিরবে-নিবৃতে হজম করে আসছেন। গত ২ জুন দেবর ভার্সুরা মিলে কুলসুমার উপর চরম অমানবিক নির্যাতন চালায় এবং ১ সপ্তাহ যাবৎ ঘরে তালাবন্দী করে রাখে।
বিষয়টি কুলসুমার অভিভাবকরা জানতে পারলে ৮ জুন হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের মাধ্যমে তাকে উদ্বার করে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। এ ব্যাপারে কুলসুমার পরিবার নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
শিরোনাম:
বুধবার , ১৪ মে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৩১ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।