কক্সবাজারে এক নারী পর্যটককে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর নারীদের জন্য সংরক্ষিত এলাকা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। একইসঙ্গে প্রশাসনের তরফ থেকে হোটেল মালিকদের সঙ্গে বসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচেনা করে ৭ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজারের হোটেল মালিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের বৈঠক হয়। সেখানে আলোচনার ভিত্তিতে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যে ৭ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন
১. সকল আবাসিক হোটেলে রুম বুকিং করার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন ও জমা দিতে হবে।
২. আবাসিক হোটেলগুলোয় একটি অভিন্ন আদর্শ কর্মপদ্ধতি প্রণয়ন করতে হবে।
৩. প্রতিটি হোটেলে কক্ষ সংখ্যা, মূল্য তালিকা ও খালি কক্ষের সংখ্যা, রেস্তোরাঁয় খাবারের মূল্য তালিকা প্রকাশ্যে প্রদর্শন করতে হবে।
৪. প্রতিটি আবাসিক হোটেলে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করতে অথবা জোরদার করতে হবে।
৫. শহর এলাকায় বসবাসকারী স্থানীয় অভিবাসীদের কক্ষ ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
৬. হোটেল-মোটেল বা গেস্ট হাউজের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষিত হতে হবে।
৭. সকল হোটেল-রেস্তোরাঁর নিবন্ধন করতে হবে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান বলেন, এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে আমাদের যদি এক-দুই মাস সময়ও লাগে, তারপরেও এসব বাস্তবায়ন করতে পারলে পর্যটনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।তবে কক্সবাজারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, অবস্থা কিন্তু অতোটা খারাপ নয়। জেলা প্রশাসন, পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ-সবাই সাধ্যমতো চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারে বেড়াতে যাওয়া এক নারীকে অপহরণের পর একটি হোটেলে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগের পর ২২ ডিসেম্বর রাত দুইটার দিকে ঘটনার শিকার ওই নারীকে একটি গেস্ট হাউজ থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব। ওই ঘটনার পর কক্সবাজারে নারী পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালে এক অস্ট্রেলিয়ান তরুণী ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।