শাহরিয়ার খাঁন ॥ চাঁদপুর পুরানবাজার ২নং বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে রমরমা কুচিং বানিজ্য। কুচিং এর বকেয়া দুই মাসের টাকা না দেওয়ায় শ্রেনী শিক্ষক পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রীকে ঘাড় ধরে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার গুরুত্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল সোমবার সকাল ১০ টায় স্কুল ছাত্রী সোহানা আক্তার স্বর্না(১১)কে ঘাড় ধরে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর পরিবারের লোকজন স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ করে ও এই ঘটনাটি শিক্ষা অফিসারের কাছে মুঠোফোনে মৌখিক অভিযোগ করেন।
জানা যায়, পুরানবাজার ২নং বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দির্ঘদিন যাবত গুটি কয়েকজন শিক্ষক রমরমা কুচিং বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। যে সকল হত দরিদ্র শিক্ষার্থি টাকার অভাবে কুচিং পরতে না পারায় শুধু তাদেরকে পরিক্ষার সময় রেজাল্ট খারাপ করে দেওয়ার ও স্কুলে গরিব ছাত্রীদের ভর্তি না করিয়ে ধনী ছাত্র ছাত্রীদের ভর্তি করায়। এই স্কুলে শিক্ষক মাকছুদুল মাওলা, দূর্ব ও শুভ্রত্ত রায় জোর পূর্বক সকল ছাত্র ছাত্রীদের কুচিং এর জন্য চাপ প্রয়োগ করে। যে সকল শিক্ষর্থীরা কুচিং পরতে অপারগতা শিকার করে শুধু তাদের সাথে থারাপ আচরন ও শাররীক নির্যাতন করার অভিযোগ করেছে অনেক অভিবাবকরা।
তেমনি সোমবার সকালে মাত্র দুই মাসের বকেয়া কুচিং এর টাকার জন্য শিক্ষক শুভ্রত্ত রায় স্কুল ছাত্রী সোহানা আক্তার স্বর্নাকে ঘাড় ধরে স্কুল থেকে বের করে দিয়েছে। ঘটনার পরেই স্কুল ছাত্রীর বাবা পুরানবাজার নিতাইগঞ্জের ইট বালুর ব্যবসায়ি মোবারক প্রধানিয়া ও তার চাচা ফজল প্রধানিয়া স্কুলে গিয়ে শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় তাদের মাঝে বাক বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। দুই মাসের কুচিং এর টাকার জন্য স্কুল ছাত্রী সোহানা আক্তার স্বর্নাকে ঘাড় ধরে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনাটি শিক্ষক শুভ্রত্ত রায় শ্বিকার করে ও ভবির্ষতে এই ধরনের ঘটনা ঘটাবে না বলে জানায়। এই পুরো ঘটনাটি ঘটনাস্থলে থাকা লোকজনার ও শিক্ষার্থীর অভিবাবকরা তাদের মোবাইলে ভয়েজ রেকোডিং করে রাখে। এই স্কুলে কুচিং বানিজ্যের বিষয়ে বহুবার অনেক অভিবাবকের সাথে শিক্ষক মাকছুদুল মাওলা, দূর্ব ও শুভ্রত রায়ের বাক বিতন্ডার সৃষ্টি হয়েছে। এই শিক্ষকরা স্কুলে কুচিং বানিজ্য করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সেই টাকা দিয়ে শিক্ষক মাকছুদুল মাওলা, দূর্ব শহরে জায়গা কিনে বহুতল ভবন নির্মান করেছে। এই স্কুলে কুচিং বানিজ্য বন্ধের জন্য অনেকবার অভিবাকরা বিক্ষোপ করেও কোন লাভ হয়নি। প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এই স্কুলে কুচিং বানিজ্যের খবর জানতে পেরেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
সোমবারের ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য শিক্ষক মাকছুদুল মাওলা, দূর্ব ও শুভ্রত রায় সরকারদলীয় লোকজনদের সাথে নিয়ে স্কুল ছাত্রী সোহানা আক্তার স্বর্নার বাবা মোবারক ও চাচা ফজল প্রধানিয়াকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে।
এই বিষয়ে সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দেলোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্কুলে কুচিং পরানো অবৈধ। কুচিং এর টাকার জন্য কোন ছাত্রীকে স্কুল থেকে বের করতে পারবে না। আমাদের কাছে এই ধরনের কোন লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
শিরোনাম:
বৃহস্পতিবার , ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ৫ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।