মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাঁও ইউনিয়নের খিদিরপুর গ্রামে ঠাকুর বাড়ির জমি দখলকে কেন্দ্র করে শুক্র ও শনিবার দুদিনে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে বাধে। এতে কমপক্ষে ২০ ব্যক্তি আহত হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৬ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে দুইদিনেই দুপুরে খিদিরপুর গ্রামে আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, ওই গ্রামের হিন্দু পরিবারের (ঠাকুর বাড়ি) বিক্রি করে যাওয়া ২৫ একর জমি ১৯৯৭ সালে নায়াণপুর এলাকার কামরুল এহসান শান্তি ক্রয় করে। এলাকার ছেলেদের খেলার মাঠ হিসেবে ৫ একর জমি দিয়ে দেন। বাকি জমিও গরীব কৃষক চাষাবাদ করে আসছে। কিন্তু ওই এলাকার ডাঃ নুরুল ইসলাম ও তার ভাই মো. হেলাল উদ্দিন বায়না সূত্রে জমির মালিকানা দাবি করে আজ ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করতে গেলে সুবিধাভোগী গ্রামবাসি ও তাদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের সাথে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে দেলোয়ার হোসেন(৪০), রিয়াদ (২০), সানাউল্লাহ (২৫), অলিউল্লাহ(৪৫), আসমা (১৫), কাউছার(৩২), সোহেল (১৮), সুজন (১৯), বিল্লাল হোসেন(৩২), সুফিয়া বেগম (২৮), সুফি আক্তার(২৫), মোস্তফা (৩৮), হারুন (৫২), শহীদ (৩৫), আব্বাস (৪০) আহত হয়েছে।
জমির মালিকানা দাবীকৃত মো. হেলালের মামাতো ভাই ওবায়েদ আলী বলেন, বায়না সূত্রে জমির মালিক আমার ভাই।
ডা: সোহেল বলেন, আদালতের রায় আছে আমাদের পক্ষে, সেই কারনেই আমরা গিয়েছিলাম। তাঁরা আমার লোকজনদের মারধর করে উঠিয়ে দিয়েছে।
অপরদিকে কামরুল এহসান শান্তি বলেন, খরিদ সূত্রে এই জমির মালিক আমি। সেটি আমি তিন বছর আগে এলাকার ছেলেদের খেলাধুলার জন্য মাঠ করে দেই, এছাড়া গ্রামবাসির জন্য নিজের অর্থায়নে ৬ কি.মি বিদ্যুতায়ন, রাস্তা ও একটি ব্রিজ করে দিয়েছি।
মতলব দক্ষিণ থানার ওসি মো.কুতুব উদ্দিন জানান, এ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ দু’পক্ষের মাঝে মামলা চলছে। ঘটনাস্থলে ব্যাপক পুলিশ মোতায়ন রয়েছে,।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।