স্টাফ রিপোর্টার: ॥ চাঁদপুর শহরের বিআইডাব্লিউটিএর মোড় থেকে শুরু করে ট্রাকঘাট হয়ে লন্ডনঘাট পর্যন্ত বিশাল এলাকায় অবৈধ ভাবে দখল করে ইট, বালু, কংক্রিট ও সিমেন্টের ব্যবসা করে যাচ্ছে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ীরা। তাদের এ ব্যবসার কারণে ডাকাতিয়া নদী দখল সহ এলাকায় পরিবেশের ভারসাম্য হারাচ্ছে। ধুলা-বালির কারণে পথচারী, স্কুল ও কলেজগামী শিশু ও বিভিন্ন বয়সী শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে। উড়ন্ত বালুর কারণে ক্ষতি হচ্ছে পাশে^র ১৫০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। এ লাকায় এ ধরনের ব্যবসা করবেননা মর্মে ব্যবসায়ীরা গত ৩ বছর পূর্বে প্রশাসনের কাছে অঙ্গীকার করে ব্যবসা সরিয়ে নিলেও এখন আবার পূর্বের অবস্থা বিরাজ করছে।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওই এলাকা ঘুরে ডাকাতিয়া নদীর পাড় দখল আর ব্যবসায়ীদের স্তুপ করে রাখা ইট, বালু ও কংক্রিট এর চিত্র দেখাগেছে।
স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানাগেছে, ২০১৪ সালে স্থানীয়দের দাবীর প্রেক্ষিতে এ এলাকাটি অবৈধ দখল মুক্ত করা হয়। এরপর বিআইডাব্লিউটিএর প্রকৌশল বিভাগ কাটা তারের প্রাচীর করে। সাধারণ মানুষ নদীর পাড়ে বসার জন্য মাচাও তৈরী করা হয়। কিন্তু ১ বছর না যেতেই আবার এলাকাটি বেদখল হয়ে পড়ে। সে থেকে এখন পর্যন্ত চলছে তাদের ব্যবসা।
ট্রাকঘাট এলাকার ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম মিয়াজী জানান, এ এলাকায় দুই শ্রেনীর ইট বালুর ব্যবসায়ী রয়েছেন। এক শ্রেনীর ব্যবসায়ী শুধুমাত্র সড়ক পথে মালামাল বিক্রির ব্যবসা করেন। আবার আরেক শ্রেণী হচ্ছে নদী পথে এনে পাড়ে রেখে চলে যান। যারা নৌ-পথে মালামাল আনেন তারা বিআইডাব্লিউটিএর লোকদেরকে মালামাল উঠানোর জন্য টাকা দেন। কিন্তু নদীর পাড় দখল করে মালামাল মওজুদ রাখার জন্য কোন টাকা দেয়া হয় না।
চাঁদপুর নদীবন্দরের বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, ২০১৩ সাল থেকে স্থানীয় এলাকাবাসী এ এলাকা থেকে পরিবেশ ভারসাম্য নষ্টকারী ব্যবসা স্থানান্তর করার জন্য দাবী তুলেন। এরপর এলাকাবাসী মানববন্ধন ও প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেন। সে আলোকে ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময় জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বিআইডাব্লিউটিএ ডাকাতিয়া নদীর পাড়সহ অবৈধ দখল উচ্ছেদ করেন। এর আনুমানিক ১ বছরের মধ্যেই পুনরায় আবারও ওই ব্যবসায়ীরা পুনরায় ব্যবসা চালু করেন।
চাঁদপুর নদীবন্দর এর উপ-পরিচালক এবং বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান জানান, আমি চাঁদপুরে আসার পুর্বে দখল মুক্ত হয়। কিন্তু এখন আবার দখল হলেও আমরা কি করবো। যে সব ব্যবসায়ীরা মালামাল উঠাচ্ছেন তাদের কাছ থেকে আমরা একটা টাকা নেই। বন্দর এলাকায় মালামাল উঠাতে না পারলে ব্যবসায়ীরা কোথায় যাবে। অবৈধভাবে ডাকাতিয়া নদীর পাড় কাটা তারের প্রাচীর ভেঙে দখল সম্পর্কে কোন কিছু বলতে রাজি নন এ কর্মকর্তা।