কবির হোসেন মিজি
পৌর প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই চাঁদপুর জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সীমানায় দোকান নির্মাণের চেষ্টা করে শাহআলম নামে এক ব্যক্তি। গতকাল ১৭ নভেম্বর রোববার সকাল থেকে মোঃ শাহআলম বেশ ক’জন লেবার নিয়ে শহীদ মিনারের বাউন্ডারির ভেতরের পশ্চিম অংশে ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কের ব্রিজ লাগোয়া ২৪র্ /১০র্ ফুট জায়গা জুড়ে মাটি খনন করে দোকান নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় সেখানে মোঃ শাহআলম ও তার পরিচিত ক’ জনের উপস্থিতিতে নির্মাণ কাজ চলছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি রেলওয়ে ও পৌরসভার অনুমতি নিয়েই কাজ শুরু করেছি। পৌরসভা এবং রেলওয়ে কেনো আপনাকে এ জায়গা দিয়েছে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিগত ১০ মাস পূর্বে চাঁদপুর ৫নং ঘাটস্থ আমার মেসার্স রশিদ এন্ড সন্স, পেট্রোলিয়ামের দোকান ভেঙ্গে জায়গা করে দেই সড়কে যানবাহনের সুবিধার্থে। আর সে জায়গার বিপরীতে পৌরসভার সুপারিশে রেলওয়ে কর্তৃপৰ আমাকে শহীদ মিনারের এ ২৪র্ /১০র্ জায়গা বুঝিয়ে দেয়। আমার কাছে এর কাগজও রয়েছে। আপনারা দেখতে পারেন।
এ নিয়ে কথা হয় চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদের সাথে। তিনি বলেন, শহীদ মিনারের জায়গায় দোকান নির্মাণ হচ্ছে এ খবর শুনে আমি সেখানে লোক পাঠিয়েছি। সেখানে দোকান করার জন্য আমি তাকে কোনো অনুমতি দেইনি।
পুনরায় আবার শহীদ মিনারে এসে দেখা যায় সেখানে পৌরসভার লোক রয়েছে ঠিকই কিন্তু দোকান নির্মাণের কাজে কেউ বাধা দিচ্ছে না কিংবা কেউই কিছু বলছে না। পৌরসভার লোকেরা তাদের নিজের কাজে ব্যসত্দ। তাদের চোখের সামনেই চলছে শহীদ মিনারের বাউন্ডারির ভেতরের অংশে দোকান নির্মাণের কাজ। আর দোকান নির্মাণকারী শাহআলম সাংবাদিকদের একটি কাগজের নকশায় জেলা প্রশাসক, পৌর মেয়র এবং পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীর সাৰর দেখিয়ে বলেন, এ জায়গাটুকু আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের সম্পত্তি কর্মকর্তা। মুহূর্তে খবরটি চাঁদপুর জেলার সংবাদকর্মী এবং সংস্কৃতি কর্মীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে তারা এসে শহীদ মিনারের স্থানে দোকান নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। একই সাথে ঘটনাস্থলে একটি বিজিবির গাড়িও আসে। চাঁদপুর মডেল থানার এসআই আনোয়ার হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বর্তমানে কাজটি বন্ধ রয়েছে।