অভিজিত রায় ॥
চাঁদপুর-চট্টগ্রামের মধ্যে চলাচলকারী যাত্রীবাহী আন্তঃনগর মেঘনা এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে ১৪ ঘন্টা বিলম্বে চাঁদপুর পৌঁছায় । এতে দক্ষিণাঞ্চলীয় যাত্রীসহ শত শত যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে বলে যাত্রীরা জানায়। চট্টগ্রাম থেকে মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে ১৪ ঘন্টা বিলম্বে গতকাল বুধবার দুপুর ১২ টায় পৌঁছে বলে, সত্যতা শিকার করে নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর সহকারি স্টেশন মাষ্টার মোঃ সিরাজুল ইসলাম। রেলওয়ে চট্টগ্রামস্থ যান্ত্রীক যোগাযোগের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা সাহেব উদ্দিন জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের বারবকুন্ড এলাকায় মঙ্গলবার ভোর রাতে কভারভ্যানের সাথে রেলট্রেনের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়। এতে রেলপথের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয় এবং এ রুটের রেলপথ ১২ ঘন্টা বন্ধ থাকে। চাঁদপুর হতে মঙ্গলবার সকাল ৫ টায় মেঘনা এক্সপ্রেস শত শত যাত্রী নিয়ে ছেড়ে গিয়ে বারবকুন্ড এলাকায় আটকা পরে। ১২ ঘন্টা পর ট্রেনটি চট্টগ্রাম গিয়ে পৌঁছে। এতে শত শত যাত্রী সীমাহীন দুর্ভোগে পরে সময় অতিবাহিত করে। চাঁদপুরও ও দক্ষীণাঞ্চলীয় শত শত যাত্রী চট্টগ্রাম স্টেশনে দুর্ভোগ পোহানোর পর বুধবার ভোর ৫ টা ১০ মিনিটে মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্য ছেড়ে আসে। মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি মঙ্গলবার রাত ১০ টায় চাঁদপুর পৌছার কথা থাকলেও ১৪ ঘন্টা বিলম্বে চাঁদপুর পৌঁছে। যার ফলে শিশু, মহিলাসহ শত শত যাত্রী সীমাহীন দুর্ভোগে পড়ে। দক্ষীণাঞ্চলীয় যাত্রীরা চাঁদপুর এসে তাদের গন্তব্যে যাওয়ার লঞ্চ না পেয়ে চাঁদপুর নৌ টার্মিনালে লঞ্চের অপেক্ষায় প্রহরগুনতে দেখা যায়। বুধবার রাত ১১-১২ টায় ঢাকা থেকে লঞ্চ চাঁদপুর আসলে তারা দক্ষীণাঞ্চলে যেতে পারবে বলে নৌ-টার্মিনালে দায়িত্বরত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান। রাতের ট্রেন দিনে আসায় বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা আজ রাতের আগে লঞ্চ পাবে না। এতে তাদের ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হবে।
এব্যাপারে চাঁদপুর কোর্ট স্টেশনের মাষ্টার মোঃ শাহজাহান জানান, এখন বেলা সাড়ে ১২টা বাজে। আমি চট্রগ্রাম যাওয়ার জন্য টিকেট দিচ্ছি। আসা করছি ১ ঘন্টাপর চাঁদপুর থেকে মেঘনা এস্কপ্রেস ছেড়ে যাবে। তবে রাতে আবার ফিরে আসবে কিনা সে ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারছি না।