মো. শিমুল হাছান:
যৌথভাবে সম্পত্তিক্রয়ের টাকা নিয়ে ভাইয়ের অংশ না দিয়ে পুরোটাই স্ত্রী ও নিজের নামে লিখে নেওয়া, মিথ্যা অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে ফরিদগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী মো. বাচ্চু মৃধা প্রেসক্লাব ফরিদগঞ্জ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাচ্চু মৃধা তার বড় ভাই মো. টেলু মৃধা (৫৫) ও ভাবী আয়েশা বেগম (৪০)-এর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনেন। আয়েশা বেগম সম্পত্তি নিজ দখলে রেখে পুলিশ প্রসাশন ও তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করছে বলে দাবী করেন।
প্রেসক্লাব ফরিদগঞ্জের সভাপতি মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সোহাগের পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাচ্চু মৃধা তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি দীর্ঘ দিন প্রবাসে ছিলাম। ১৯৯৪ সালে নিজ গ্রামের জনৈক ইসলাম খাঁনের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা দরে ১’শ২৫ শতক সম্পত্তি ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেই। সিদ্ধান্ত অনুসারে স্থানীয় মান্নান মোল্লা ও মহসিন ভূঁইয়ার মধ্যস্থতায় আমি ইসলাম খাঁনকে ১ লক্ষ টাকা প্রদান করি। পরবর্তীতে আমি নিজ কর্মের তাগিদে পূণরায় সৌদি আরব চলে যাই। সেখানে গিয়ে মো. আহছান উল্ল্যাহ হাজীর মাধ্যমে বায়নাকৃত সম্পত্তির আরো ১ লক্ষ টাকা পরিশোধ করি। সম্পত্তির সর্বমোট দাম নির্ধারণ করা হয় ৩’লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। ২ লক্ষ টাকা পরিশোধের পর বাকি টাকা জোগাড় করতে না পেরে আমার মায়ের পেটের ভাই মো. টেলু মৃধাকে বাকি ১লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে সম্পত্তির অংশীদার হতে বলি। যার শর্ত ছিলো উভয়ই উক্ত সম্পত্তির সমান অংশীদার হিসাবে রেজিষ্ট্রি দলিল করা হবে। কিন্তু সম্পত্তি রেজি: সময় আমি প্রবাসে থাকার কারণে বড় ভাই ও ভাবী নিজের নামে সম্পূর্ন সম্পত্তি লিখে নেয়। আমাকে সম্পত্তির অংশ বুজিয়ে না দিয়ে ভাই-ভাবী আমার সাথে প্রতারণার আশ্রয় নেয়।
যার কয়েক বছর পর আমি এই ঘটনা জানতে পারি এবং ভাইয়ের কাছে জানতে চাইলে তখন তিনি আশ^াস দেয় পুনরায় রেজি: মাধ্যমে আমার সম্পত্তি বুজিয়ে দেওয়া হবে। কিন্ত কয়েক বছর চলে গেলেও আমার সম্পত্তি বুজিয়ে দেয়নি।
পরবর্তীতে ২০১৩ সালে আমি দেশে আসার পর ঘরোয়াভাবে বসে সম্পত্তি রেজি: সংক্রান্ত বিষয়টি মিমাংসার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ঘরোয়াভাবে বিষয়টি মিমাংসা না হওয়ায় আমি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে ভাই ও ভাবীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ প্রদান করি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে টেলু মৃধা ইউনিয়ন পরিষদে বসে ২ মাসের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ^াস দিয়ে ৪/৫ দিনের মাথায় গোপনে সৌদি আরব চলে যান।
পরে আয়েশা বেগম, আমার ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে। কিন্তু তথ্য প্রমানের সতত্য না থাকায় আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়।
তিনি আরো বলেন, ইসলাম খানকে ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরই আমি সম্পত্তির দখলে গিয়ে সেখানে বনজ ও ফলদ গাছ লাগাই। তখন বাড়ি করার উদ্দেশ্যে ওই সম্পত্তির সামনে ১৫ শতাংশ জমিতে কাঁচা রাস্তাও তৈরি করি। এসময় আমার ৩০ হাজার টাকা ব্যয় হয়।
বর্তমানে আমি অর্থাভাবে অত্যন্ত কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছি। আমি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, সালিশ ও প্রশাসনের মাধ্যমে আমার ভাইয়ের কাছে পাওনা টাকা ও ক্ষতিপূরণ দাবী করছি।
শিরোনাম:
বৃহস্পতিবার , ২ মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ১৯ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।